আগামী অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের করমুক্তসীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এ প্রস্তাব জমা দেয় ডিএসই। এরপর দুপুরে মতিঝিলে ডিএসইর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান মিয়া এ তথ্য জানান।
ডিএসই পুঁজিবাজারে ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে উৎসে কর কমানোর প্রস্তাবও জানিয়েছে। উৎসে কর ০ দশমিক ০৫ থেকে কমিয়ে ০ দশমিক ০১৫ করার প্রস্তাব জানিয়েছে ডিএসই।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যে সক্ষমতা ডিএসইর অর্জন করা দরকার তা এখনো পারেনি। এই সক্ষমতা বাড়াতে হলে বিনিয়োগও বাড়াতে হবে। তার জন্য আমাদের আরো ৫ বছর কর অবকাশ সুবিধা দরকার, যেটা আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রস্তাবনা আকারে জমা দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, জিডিপিতে দেশের পুঁজিবাজারের অবদান ২১ শতাংশ। সেখান থেকে সরকারের কর বাবদ আয় হয় ২০০ কোটি টাকা। ক্রমবিকাশমান পুঁজিবাজারে সুবিধা পেলে তা হাজার কোটি টাকার বেশি হবে।
তিনি জানান, পুঁজিবাজারের মন্দা অবস্থায় ব্রোকারদের আয় হচ্ছে না। সেই সঙ্গে এত বেশি কর তারা দিতে পারছেন না। একটা সমন্বয় থাকার প্রয়োজন।
মার্জিন ঋণ বিষয়ে তিনি বলেন, যারা মার্জিন ঋণ নিয়েছেন, তাদের অনেকেই পুঁজি হারিয়েছেন। তাদের এখন ওই মার্জিন ঋণকে আয় হিসাবে ধরে কর আরোপ করা হচ্ছে। এটা যাতে না করা হয়, তার জন্য আমরা প্রস্তাবনা দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে নিবাসী ও অনিবাসী বাংলাদেশিদের কর কর্তন ৮২সি ধারার অধীনে অন্তর্ভুক্তিকরণ, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইড শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি হতে অব্যাহতি প্রদান এবং ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪ এর সেকশন-২ এর সাবসেকশন (৩৫) এর অধীনে আয়বর্ষের সংজ্ঞা পরিবর্তনের প্রস্তাব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী ও রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
সানবিডি/ঢাকা/আহো