মাইগ্রেন সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি সত্যিই বুঝবেন না এটি আপনাকে কত দুর্বল করে ফেলতে পারে। বিশ্বব্যাপী লাখো লাখো মানুষ মাইগ্রেন সমস্যায় আক্রান্ত। ছোট ছোট এবং অদ্ভুত সব কারণে মাইগ্রেন সমস্যা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া পরিবর্তন, খাদ্য তালিকা, মাত্রাতিরিক্ত সুবাস এবং অন্যান্য অনেক কারণে মাইগ্রেন সমস্যার উদ্রেক হতে পারে। প্রত্যেকের ক্ষেত্রে মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার পৃথক কারণ রয়েছে। তাই এর চিকিৎসাও সহজ নয়। প্রথমেই আপনার মাইগ্রেন বাড়ার কারণ চিহ্নিত করতে হবে। যাতে কার্যকরীভাবে এর সমাধান দিতে পারেন। গন্ধ যদি আপনার সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হয় তাহলে পারফিউম, রুম ফ্রেশনার, সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি, শক্তিশালী ডিটারজেন্ট এবং কড়া গন্ধ ছড়ায় এমন যেকোনো কিছু থেকে একশ’ হাত দূরে থাকুন।
অতিরিক্ত শব্দ বা নির্দিষ্ট খাবারে মাইগ্রেন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি হতে পারে নির্দিষ্ট ধরনের পনির, বাদাম, অ্যাসিডযুক্ত ফলমূল, চকলেট, আচার, সিক্ত খাবার(মাছ, মাংস এবং অন্যান্য), শিম, কিশমিশ, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটযুক্ত (এমএসজি) খাবার, অ্যাভোকাডো, ক্যাফেইনযুক্ত খাবার এবং অ্যালকোহলের কারণে। সবচেয়ে ভালো হয় এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকা।
নারীদের পিরিয়ডও মাইগ্রেন সমস্যার কারণ হতে পারে। পিরিয়ড শুরুর কিছু দিন পূর্বে বা চলাকালে মাইগ্রেন সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভধারণের সময় কারো কারো মাইগ্রেন সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাইগ্রেন উপশমে ওষুধ এই অস্বস্তি থেকে দূরে রাখতে পারে।
মাইগ্রেন সমস্যার সবেচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে মানসিক বা শারীরিক চাপ। এর কারণ হচ্ছে আবেগের অনিশ্চিয়তা, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা এবং মানসিক যন্ত্রণা মস্তিষ্কে রাসায়নিক নির্গমন করতে পারে। যার ফলে মাইগ্রেন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সময়মত না ঘুমানোর কারণে মাইগ্রেন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে জেগে ওঠা উচিত। প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
সানবিডি/ঢাকা/আহো