মালয়েশিয়ায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া অবস্থান করা ৬৫ বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশি।
এ সময় জাল ভিসা, স্টিকার তৈরি চক্রের মূলহোতা এক বাংলাদেশি ও এক ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সেমুনিয়া ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতু রুসলিন জুসোহের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ৫ ও ৬ এপ্রিল পুত্রজায়ার বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে এ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারদের মধ্যে ৪৩ জন ভারতীয়, ২০ জন বাংলাদেশি ও দুজন পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন। তাদের সবার বয়স ২৫-৪৫ বছরের মধ্যে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ৪০টি, বাংলাদেশি ২০টি ও ও দুটি পাকিস্তানি পাসপোর্টসহ মোট ৬৫টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
এ পাসপোর্টগুলো দালালরা জাল পিএলকেএস ওয়ার্ক পারমিট লাগিয়ে বৈধ করার প্রলোভন দেখিয়ে সংগ্রহ করেছিল। প্রত্যেক পাসপোর্টে জাল ভিসা লাগানোর জন্য জনপ্রতি ছয় হাজার রিংগিত অগ্রিম নেওয়াও হয়েছিল।
চক্রের মূলহোতা একজন ভারতীয় পুরুষ। তার বয়স ৪৩ বছর। রাজধানী কুয়ালালামপুরের ব্রিকফিল্ড এলাকায় প্রথমে তার অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট ও জাল ভিসার স্টিকারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
ভারতের ওই নাগরিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিকে সেরেমবান রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ৩০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনিও এ চক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন। গ্রেফতারদের অধিকতর তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেমোনিয়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
এনজে