গত ৩০ এপ্রিল ২০১৬ইং তারিখে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়। এ পর্যায়ে মোট ৮ কোটি ৯০ লাখ সিম নিবন্ধিত হয়। বাকি থাকে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ সিম/রিম। তাই সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের দাবীর প্রেক্ষিতে ৩১ মে ২০১৬ইং তারিখ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করে।
গতকাল পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায় যে, সিম নিবন্ধনে গ্রাহক এবং রিটেইলারদের কোন প্রকার আগ্রহ নেই। যার ফলে এ পর্যন্ত মাত্র ১০ লাখ সিম নিবন্ধন হয়েছে। যা মোট অনিবন্ধতি সিমের ১.৯৮%।
গত ৩০ এপ্রিল মাননীয় প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু প্রস্তাবনা ও নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নেই। বলা হয়েছিল প্রতিদিন অনিবন্ধিত সিমগুলি ৩ ঘন্টা করে বন্ধ রাখা হবে কিন্তু তা হয়নি। আবার নির্বাচন কমিশনের লোকজন গ্রাহক সেবা কেন্দ্রগুলিতে থাকার কথা থাকলেও তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নি এবং ১৩০ সদস্য বিশিষ্ট বিটিআরসির পর্যবেক্ষক টিম মাঠ পর্যায়ের কাজ করার কথা থাকলেও তাদের কোন অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় নি। বরং আমরা লক্ষ্য করেছি যে, পূর্বের ন্যায় নিবন্ধন ছাড়াই আবারো সিম বিক্রি চলছে। গ্রাহকরা জিজ্ঞাসা করলে রিটেইলাররা বলছেন, এগুলি নিবন্ধন করা আছে।
আমরা অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত ভাবে লক্ষ্য করছি যে, গত ৮ এপ্রিল বিটিআরসি দপ্তরের সকল অপারেটরদের নিয়ে (ভোক্তাদের প্রতিনিধি ছাড়া) একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে বিটিআরসি সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা না হয়ে উল্টো অপারেটরদের প্রতিনিধি বা ব্যবসায়ী সংগঠনের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন, ৩১ মে’র পর অনিবন্ধিত সিমগুলি আর নিবন্ধন করা যাবে না। তবে কেউ ১৫০ টাকা রিচার্জ করে তাহলে ওই সিমগুলি সক্রিয় হবে। নাহলে ওই সিমগুলি পুনরায় গ্রাহকরা ক্রয় করতে পারবেন।
সেবার কথা উল্লেখ না করে, গ্রাহকদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা না করে যে অপারেটররা গ্রাহকদের ভোগান্তি ও হয়রানি করলো তাদের কোন জবাবদিহিতার আওতায় না এনে এবং রিটেইলারদের অনৈতিক ভাবে অর্থ আদায় করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ব্যবসায়ীদের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে বিটিআরসি সারা জাতিকে হতাশা গ্রস্ত করেছে।
সানবিডি/ঢাকা/আহো