রোজ বেরনোর আগে সুন্দর করে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে বেরোন। আয়নায় নিজেকে দেখতে তখন দারুণ মোহময়ী লাগে। কিন্তু সারাদিন কেউ যেন খেয়ালই করে না আপনাকে। কেন এমনটা হয় বলুন তো? এত সুন্দর সেজেও কেন কিছু ক্ষণ পরই কেমন যেন নির্জীব হয়ে যায় ঠোঁট? জেনে নিন লিপস্টিক ধরে রাখার ৮ টিপ্স।
গ্লস: লিপস্টিকের ওপর গ্লস লাগালে লিপস্টিকের রং সিল হয়ে যায়। ফলে ঠোঁটে অনেক ক্ষণ থাকে।
ঠোঁট: যদি ঠোঁট ফাটা থাকে, আর্দ্রতা হারায় তাহলে কিন্তু বেশী ক্ষণ লিপস্টিক ধরে রাখতে পারবে না। যে কারণে ঠোঁটের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই লিপ বাম লাগিয়ে শোবেন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
বেস: শুধু রাতে শুতে যাওয়ার আগে নয়, লিপস্টিক লাগানোর আগেও ঠোঁটে লিপ বাম বেস হিসেবে লাগিয়ে নিন।
লিপ বাম হাওয়া, রোদ, শুষ্ক আবহাওয়া থেকে ঠোঁট রক্ষা করে।
প্রাইমার: বাড়িতে রং করার আগে যেমন দেওয়ালে প্রাইমার লাগাতে হয়, তেমনই লিপস্টিকের রং ধরে রাখতেও লিপ প্রাইমার লাগান। দোকানে লিপ প্রাইমার কিনতে পাওয়া যায়। না থাকলে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন লিপ প্রাইমার হিসেবে।
ফাউন্ডেশন ঠোঁটের ফাটা ঢেকে দেয়। যা লিপস্টিকের জন্য মসৃণ জমি তৈরি করে।
লিপ পেন্সিল: লিপস্টিক লাগানোর আগে পেন্সিল দিয়ে লিপ লাইন করলে লিপস্টিক বেশী ক্ষণ ধরে রাখা যায়। ঠোঁটের মাঝখান থেকে বাইরের দিকে টানবেন। বাইরের দিক থেকে ভিতর দিকে নয়। কারণ লিপস্টিক সবচেয়ে বেশী ঘন থাকে ঠোঁটের মাঝখানে।
লিপস্টিক শেড: সব শেডের লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সাধারণত হালকা শেডের থেকে একটু গাঢ় ও উজ্জ্বল শেডের লিপস্টিক বেশী ক্ষণ স্থায়ী হয়। লাল, প্লাম, কোরাল, ব্রাউন সবচেয়ে বেশী সময় স্থায়ী হয়। পিঙ্ক লিপস্টিক লাগাতে হলে একটু গাঢ় পিঙ্ক বেছে নিন। নিউট্রাল শেডের লিপস্টিক লাগাতে চাইলে একটু উজ্জ্বল বেজ লিপস্টিক লাগালে দীর্ঘস্থায়ী হবে।
লং লাস্টিং ফর্মুলা: অনেক লিপস্টিকের ওপর লেখা থাকে লং লাস্টিং ফর্মুলা। সাধারণত ক্রিমি লিপস্টিকের থেকে এই লিপস্টিক বেশি সময় স্থায়ী হয়। এতে সিলিকন থাকে। যা লিপস্টিকের ওপর প্রোটেকটিভ লেয়ার তৈরি করে।
ব্লটিং: একটা লেয়ার লাগানোর পর টিস্যু দিয়ে ব্লট করে নিন। তারপর আরও একটা লেয়ার লাগান। এতে তেল শুষে যাবে, অথচ পিগমেন্ট ধরে রাখবে ঠোঁট।
সানবিডি/ঢাকা/আহো