মার্চ মাসে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি কমেছে। নিম্নমুখী মজুদের প্রভাবে গতকাল ফিউচারস মার্কেটে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। এ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো পণ্যটির দাম বাড়ল। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা ইন্দোনেশিয়ার রফতানি নীতিতে পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছেন। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে জুনে সরবরাহের জন্য চুক্তি করা পাম অয়েলের দাম ৪১ রিঙ্গিত বা ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বেড়েছে। কার্যদিবসের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি টনের মূল্য দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮৭৮ রিঙ্গিত (৮৭৮ ডলার ৩৭ সেন্ট)।
এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার সরকারসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ১৬-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অপরিশোধিত পাম অয়েলের রেফারেন্স দাম টনপ্রতি ৯৩২ ডলার ৬৯ সেন্ট নির্ধারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মাসের প্রথমার্ধে যা ছিল টনপ্রতি ৮৯৮ ডলার ২৯ সেন্ট।
বর্তমানে মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সরকার পাম অয়েলের কিছু রফতানি অনুমোদন স্থগিত করে দেয়। উদ্দেশ্য ছিল রমজান মাসে স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং ভোজ্যতেলের ক্রমবর্ধমান বাজারদরে লাগাম টেনে ধরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের প্রত্যাশা ঈদের পর ইন্দোনেশিয়া বিদ্যমান রফতানি নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে, যা তাদের পণ্যটির বাণিজ্যে সুবিধা দেবে।
মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড জানায়, দেশটিতে গত মাসে পাম অয়েলের মজুদ এর আগের মাসের তুলনায় ২১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ কমেছে। মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৭০ হাজার টনে। রফতানি ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় মজুদে টান পড়েছে।
এনজে