শেষ হয়েছে চলতি বছরের হজের নিবন্ধনের সময়। আট দফা সময় বাড়িয়েও হজযাত্রীর কোটা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। সবশেষ পাওয়া তথ্যানুসারে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।
বুধবার (১২ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী যাওয়ার সংখ্যা নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজের সুযোগ পাওয়ার কথা।
কিন্তু তাতে বাদ সাধে হজের বাড়তি খরচ। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বেড়েছে হজের খরচ। তাই প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন করেও চূড়ান্ত নিবন্ধনে আগ্রহে ভাটা পড়ে মানুষের। আট দফা নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েও পূরণ হয়নি নির্ধারিত কোটা।
তবে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, কোটা খালি থাকার কারণে আগামী বছরে হজের কোটা পেতে কোনো সমস্যা হবে না। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেশেরই হজের কোটা খালি থাকবে বলে দাবি করেন হাবের সভাপতি।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৩ সালের হজ নিবন্ধন কার্যক্রম সার্ভার বন্ধের মাধ্যমে শেষ করা হয়েছে নিশ্চিত করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এ বছর মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার ৩৫ এবং বেসরকারিভাবে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন নিবন্ধিত হয়েছেন।
এখনও কোটা পূরণে ৭ হাজার ৫০৩ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন বাকি রয়েছে। এদিকে রোববার (১৬ এপ্রিল) থেকে শুরু হবে ভিসা আবেদন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর হজনিবন্ধন শুরু হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধনের শেষ সময় থাকলেও তা বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়। তবে কোটার বিপরীতে খুবই কমসংখ্যক হজযাত্রী নিবন্ধিত হন। পরে নিবন্ধনের সময় ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই সময়েও কোটার অর্ধেকেরও কম হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়।
এরপর নিবন্ধনের সময় ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ের মধ্যেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই নিবন্ধনের সময় ২১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে সময় আরেক দফা বাড়িয়ে করা হয় ৩০ মার্চ পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে কোটা পূরণ না হলে শেষে নিবন্ধনের সময় ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর আর সময় বাড়ানো হয়নি।
এএ