আমার পিতা যদি জামায়াতে ইসলামীর আমির না হতেন তাহলে তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ৪২ বছর পর মানবতাবিরোধী কোনো অভিযোগ আনা হত না। ১৯৮৬ সালে জামায়াতের পক্ষ থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগ পর্যন্ত কেউ আমার পিতার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও করেনি, কোনো মামলাও হয়নি কোথাও।
২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বাধীন প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজামীর পক্ষে জবানবন্দি দেন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর আইনজীবী ছেলে ব্যারিস্টার মো. নাজিবুর রহমান নিজামী ওরফে নাজিব মোমেন।
এই ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
নাজিব মোমেন বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত ৪২টির বেশি মামলা দায়ের হয়েছিল। এমনকি ১৯৯৭ সালেও বুদ্ধিজীবী হত্যা সংক্রান্তে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে এতগুলো মামলা দায়ের হলেও আমার পিতাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী করা হয়নি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে সাধারন ফৌজদারি আইনে মামলা ছাড়াও শুধুমাত্র দালাল আইনেই লক্ষাধিক মামলা হয়েছিল স্বাধীনতার পর। এছাড়া সরকারি প্রতিবেদনে এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের নাম প্রকাশিত হতে থাকে। কিন্তু কোথাও আমার পিতার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের হয়নি, একটি অভিযোগও করেনি কেউ ১৯৭১ সাল বিষয়ে।
নাজিব মোমেন বলেন, তাই আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আমার পিতা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলা সাজানো হয়েছে।
অনলাইন বাংলার পাঠাকদের জন্য নিজামীর বড় ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেনের ট্রাইব্যুনালে দেয়া জবানবন্দী তুলে ধরা হলো:-
আমার নাম মো. নাজিবুর রহমান ওরফে নাজিব মোমেন। আমার বয়স ৩২ বৎসর। আমি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের ছেলে। আমি তার পক্ষে তদ্বিরকারক হিসাবে এই মামলার শুরু থেকে যুক্ত আছি।
আমি এই মামলার অনুসন্ধান করতে গিয়ে এবং এই মামলার অভিযোগ সমূহ পর্যালোচনা করতে গিয়ে ১৯৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত বই পুস্তক, সরকারী বেসরকারী দলিল দস্তাবেজ, ১৯৭১ সালে প্রকাশিত পত্র পত্রিকা এবং স্বাধীনতার পর পরই প্রকাশিত পত্র পত্রিকা পর্যালোচনা করি।
১৯৭১ সালে প্রকৃত পক্ষে কি ঘটেছিল, কারা ওই সময় সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল সেই সত্য অনুসন্ধানের জন্য দেশ বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, সাংবাদিকসহ সেই সময়ে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি বর্গের সাথে সাক্ষাৎ করি।
অত্র মামলায় যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে সেই সমস্ত স্থানসমূহ পরিদর্শন করি এবং সেই সমস্ত স্থানের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করি। আমি এবং আমার সহকর্মীরা
দেশে-বিদেশে ১৯৭১ সালের ঘটনা কেন্দ্রিক বিভিন্ন নথিপত্র ও বই পুস্তক সংগ্রহ করার চেষ্টা করি। আমার গত সাড়ে তিন বছরের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে আমি দ্যর্থহীন ভাবে বলতে পারি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের বিরুদ্ধে আনীত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ সমূহ সর্বৈব মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এর বড় প্রমাণ হলো ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৬ সালে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নমিনি হিসাবে অংশগ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ আনা হয়নি।
আসামিপক্ষে দাখিলকৃত দলিলসমূহ যা আমি মাননীয় ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করব এবং সরকার পক্ষের প্রদর্শিত দলিলপত্র সমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধসমূহের বিবরণ স্বাধীনতার পরবর্তীতে প্রকাশিত সংবাদপত্রে দীর্ঘদিন পর্যন্ত প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হতে থাকে।
এ সমস্ত জঘন্যতম অপরাধের সাথে যারা যুক্ত ছিল কিংবা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর উঠেছিল তাদের নামও ওই সময় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। যারা আলবদর নামে পরিচিত ছিল তাদের নাম পত্র পত্রিকায় সেই সময় এসেছিল এমনকি তাদের ছবিও সেই সময়কার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। অনেককে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পত্রিকায় গণ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছিল।
১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধের প্রেক্ষিতে সেই সময় অসংখ্য মামলা হয়েছিল। শুধুমাত্র দালাল আইনেই লক্ষাধিক মামলা হয়েছিল। সাধারণ ফৌজদারি আইনেও অনেক মামলা হয়েছিল। এসকল মামলায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের সাথে পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী রাজনীতিবিদদেরকেও আসামী করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাদের নামও সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ১৯৮১ সালে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের হয় নাই এমনকি কোন পত্র পত্রিকায় ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে অপরাধের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসে নাই।
আমার প্রদর্শিতব্য দলিলে দেখা যাবে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পরবর্তী সময়ে সরকার পাকিস্তান আর্মির সহযোগীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছিল। এই তালিকা প্রণয়নের জন্য প্রতিটি থানায় সিও (ডেভ) কে আহ্বায়ক করে এবং সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত কমিটি রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর প্রেরণ করেন। জেলা পুলিশ সুপার উক্ত তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছিলেন। আমি অনুসন্ধানকালে দেখতে পেয়েছি আমার পিতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের নাম উক্ত তালিকায় নাই।
আমার প্রদর্শিতব্য দলিল পত্রাদিতে আরো দেখা যাবে ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যা সংক্রান্তে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল এবং সরকার পক্ষের প্রদর্শিত দলিলে দেখা যায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড সংক্রান্তে ৪২টির বেশি মামলা দায়ের হয়েছিল। এমনকি ১৯৯৭ সালেও বুদ্ধিজীবী হত্যা সংক্রান্তে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ সংক্রান্তে এতগুলো মামলা দায়ের হলেও আমার পিতাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী করা হয় নাই।
এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আমার পিতা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলা সাজানো হয়েছে। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তা বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড সংক্রান্তে কোনো অভিযোগ আনতে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও জনৈক ব্যক্তির নির্দেশনায় প্রসিকিউশন সেই অভিযোগ এনেছে (প্রসিকিউশনের আপত্তি সহকারে)।
এমনটি তদন্ত সমাপ্ত হওয়ার পর ফর্মাল চার্জ দাখিলের পরে অন্যায়ভাবে উক্ত অভিযোগটি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ফরমায়েশে সাক্ষী বানানো হয়েছে।
প্রসিকিউশনের প্রদর্শিত ডকুমেন্টে দেখা যায় ১৯৭০/১৯৭১ সালে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব কোন অখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন না। তার বক্তব্য বিবৃতি পত্র পত্রিকায় সেই সময় নিয়মিত প্রকাশিত হতো। সরকারী গোয়েন্দা রিপোর্টে তার কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বর্ণনা থাকতো।
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ষাটের দশকের শেষের দিকে লেখাপড়া এবং ছাত্র রাজনীতি করেছেন। তার সমসাময়িক ছাত্র নেতারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত। জনাব তোফায়েল আহমেদ, জনাব আবদুর রাজ্জাক, জনাব রাশেদ খান মেনন তার সমসাময়িক রাজনীতিবিদ এবং তারা একই সাথে ষাটের দশক থেকে অদ্যাবধি রাজনীতি করে যাচ্ছেন।
১৯৭১ সালে মাওলানা নিজামীর যে সমস্ত বক্তব্য, বিবৃতি ও কর্মকাণ্ডের খবর তদানিন্তন পত্র পত্রিকায় এবং গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখিত হয়েছে সেখানে কোথাও নিজামী সাহেবের পরিচিতি হিসাবে আলবদর প্রধান বা আলবদরের কমান্ডার উল্লেখ করা হয় নাই।
তিনি আলবদরের কোনো বৈঠকে যোগ দিয়েছেন এ ধরণের কোনো রিপোর্টও নেই। তিনি সেনাবাহিনীর কোন অফিসার কিংবা কোন কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করেছেন এ ধরণের কোন রিপোর্ট ১৯৭১ সালের গোয়েন্দা রিপোর্ট বা পত্র পত্রিকায় নাই।
আমার পিতা ১৯৭১ সালে যে সমস্ত জায়গায় গিয়েছিলেন এবং বক্তব্য রেখেছিলেন তা পত্র পত্রিকায় ও গোয়েন্দা রিপোর্টে এসেছিল। তদানিন্তন প্রবাসী সরকারের গোয়েন্দা রিপোর্টেও আমার পিতার বিরুদ্ধে আলবদর বাহিনী প্রধান হওয়ার বা পাবনা যাওয়ার কোনো অভিযোগ নেই।
এ সমস্ত অভিযোগের সূচনা ১৯৮৬ সালে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের একজন সম্ভাবনাময় নেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশের পরপরই হয়েছে।
আমার পিতা যদি আজকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির না হতেন, তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ৪২ বৎসর পর নতুন করে অভিযোগ আনা হতো না। শুধুমাত্র বাংলাদেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে তিনি একজন ফ্যাক্টর বলে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগসমূহ আনা হয়েছে।
আমার পিতা দীর্ঘ ৫০ বৎসর বাংলাদেশে সুনামের সাথে রাজনীতি করে যাচ্ছেন এবং তিনি বিভিন্ন সময় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পাবনা জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাথিয়া-বেড়া এলাকায় তিনি দুই দুই বার সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন এবং দেশ ও দশের ক্ষতিকর কোন কাজ করেছেন এমন কোনো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নেই।
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের একজন বিশ্বাসী ব্যক্তি। তিনি শুধুমাত্র একজন রাজনীতিবিদ নন তিনি একজন ইসলামিক স্কলারও বটে। তিনি বাংলাদেশের ইসলামী শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ইসলামী আইনের উপর সর্বোচ্চ ডিগ্রী লাভ করেছেন।
স্বাধীনতার পূর্ব থেকে তার লিখিত বর্তমান সময় পর্যন্ত ইসলামের উপর অসংখ্য পুস্তক ও আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও লিখিত বই পুস্তক পর্যালোচনা করে আমি দেখেছি তিনি আগাগোড়াই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী।
আমি আমার উল্লেখিত বক্তব্যের সমর্থনে এখন কিছু দলিলপত্র উপস্থাপন করছি।
ডঃ এম আবদুল আলিম কর্তৃক সম্পাদিত “পাবনার ইতিহাস” বইয়ের ফটোকপি সংশ্লিষ্ট অংশ যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৩ এর ৪২০ থেকে ৫২০ পৃষ্ঠা প্রদর্শনী-অ হিসাবে চিহ্নিত হইল।
ডঃ মুহাম্মদ আবদুল জলিল কর্তৃক লিখিত “শাহজাদপুরের ইতিহাস” বইয়ের ফটোকপি সংশ্লিষ্ট অংশ যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-৯ এর ১৮৪ থেকে ১৮৯ পৃষ্ঠা প্রদর্শনী-ই হিসাবে চিহ্নিত হইল।
পাবনার এসপি কর্তৃক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি বরাবরে ২৬-০৯-৭২ তারিখে ৬৭৯০/ই- স্মারক মূলে প্রেরিত প্রতিবেদন যাহাতে পাবনা জেলার স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকার ফটোকপি যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৪ এর ১৮৮ থেকে ১৯৮ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী- ঈ হিসাবে চিহ্নিত হইল।
আবুল কালাম আজাদ কর্তৃক লিখিত “মুক্তিযুদ্ধের কিছু কথা পাবনা জেলা” এর ফটোকপি আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৪ এর ২০১ থেকে ২১৪ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-উ হিসাবে চিহ্নিত হইল। দৈনিক সংবাদের ০৭-০৬-২০১২ইং তারিখে পত্রিকার “বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী রহম আলী খবর কেউ রাখেনি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ফটোকপি যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১০ এর ২৯৭ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ঊ হিসাবে চিহ্নিত হইল।
মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম কর্তৃক লিখিত “৭১’র মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কথা” এর ফটোকপি আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-৯ এর ৩৪ থেকে ৭০ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ঋ হিসাবে চিহ্নিত হইল। বাংলা ১৩৭৮ সালের পঞ্জিকা গণনায় উত্তম সিংহ এর ফটোকপি যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৩ এর ০১ থেকে ৩৬৯ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-এ হিসাবে চিহ্নিত হইল।
পাবনার বেড়া উপজেলার সম্ভুপুর এলাকায় মহিলাদের ভোটার লিস্ট যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৩ এর ৩৮২ থেকে ৩৮৪ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ঐ হিসাবে চিহ্নিত হইল। পাবনার বেড়া উপজেলার বৃশালিখা এলাকার পুরুষদের ভোটার লিস্ট যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৩ এর ৩৮৮ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ও হিসাবে চিহ্নিত হইল।
শহীদ আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েলের জীবন বৃত্তান্ত যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৩ এর ৩৯২ ও ৩৯৩ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ঔ হিসাবে চিহ্নিত হইল। দৈনিক প্রথম আলোর ০২-১১-২০১১ইং তারিখের সংশ্লিষ্ট অংশের ফটোকপি যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৩ এর ৩৯৪ ও ৩৯৫ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ক হিসাবে চিহ্নিত হইল।
শহীদ আলতাফ মাহমুদ এর জীবন বৃত্তান্ত যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৩ এর ৩৯৬ থেকে ৩৯৮ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-খ হিসাবে চিহ্নিত হইল। “আলতাফ মাহমুদ এক ঝড়ের পাখি” নামক স্মারক গ্রন্থ সম্পাদনায় মতিউর রহমান আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৪ এর ২৬৬ থেকে ৩২০ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-গ হিসাবে চিহ্নিত হইল। আনিসুল হকের লিখিত বই “মা” যাহা প্রদর্শনী-ঘ হিসাবে চিহ্নিত হইল।
মোহাম্মদ আসাদ ও মিল্লাত হোসেন সম্পাদিত “ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ” বইয়ের ফটোকপি যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-৯ এর ২৬৭ থেকে ২৭৫ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ঙ হিসাবে চিহ্নিত হইল। পাবনা জেলার বেড়া থানার বৃশালিখা পুরুষদের ভোটার লিস্ট যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্ট ভলিউম-১৫ এর ০১ থেকে ০৪ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-চ হিসাবে চিহ্নিত হইল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র- ৭ম খণ্ড যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমেন্টের ভলিউম-১১ এর ২৯৯ তেকে ৩১৩ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ছ হিসাবে চিহ্নিত হইল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র- ৮ম খণ্ড যাহা আসামী পক্ষ কৃর্তক দাখিলি ডকুমেন্টের ভলিউম-১১ এর ৩১৪ থেকে ৩২৭ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-জ হিসাবে চিহ্নিত হইল।
রাজাকার অর্ডিন্যান্স যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমন্টে ভলিউম-৭ এর ০১ থেকে ০৩ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ড হিসাবে চিহ্নিত হইল। বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল পত্র- একাদশ খণ্ড যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দখিলি ডকুমন্টে ভলিউম-৭ এর ৩২২ থেকে ৩২৭ পৃষ্ঠায় মুজিবনগর সরকারের ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টের কপি প্রদর্শনী-ঢ হিসাবে চিহ্নিত হইল। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী কর্তৃক আসামী অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের মামলায় প্রদত্ত জবানবন্দি ও জেরার জাবেদা নকলের ফটোকপি যাহা আসামী পক্ষ কৃর্তক দখিলি ডকুমন্টে ভলিউম-১৪ এর ১৩৬ থেকে ১৮৭ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ণ হিসাবে চিহ্নিত হইল।
রমনা থানা মামলা নং-১১৫(৯)৯৭ এর এজাহারসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের ফটোকপি যাহা আসামী পক্ষ কর্তৃক দাখিলি ডকুমন্টে ভলিউম-১৪ এর ৮৬ থেকে ১০৪ পৃষ্ঠায় প্রদর্শনী-ত হিসাবে চিহ্নিত হইল।