গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তামা আমদানি ১৯ শতাংশ কমেছে। দেশটির শুল্ক বিভাগ সম্প্রতি এ তথ্য জানায়। স্থানীয় উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী বৈশ্বিক দামের কারণে আমদানি চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়ে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
এ বিষয়ে চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্যে দেখা গেছে, চীন মার্চে অগঠিত তামা ও তামাজাত পণ্য আমদানি করেছে ৪ লাখ ৮ হাজার ১৭৪ টন। গত বছরের একই সময় আমদানির পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৪ হাজার ৯ টন। আমদানীকৃত এসব পণ্যের মধ্যে ছিল অ্যানড, পরিশোধিত তামা, অ্যালয় ও আধা পরিশোধিত তামা পণ্য।
বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, পরিবহন ও এয়ার কন্ডিশনিং খাতে তামার ব্যবহার ব্যাপক। গত বছর চীন জিরো কভিড নীতি থেকে সরে আসায় দেশটির এসব খাতে লাফিয়ে বেড়েছে তামার চাহিদা। এ চাহিদা পূরণে দেশটির সরকার উৎপাদন বাড়াতে কাজ শুরু করে।
তবে কিছু বিশ্লেষক বলছেন, চীনে তামার ব্যবহার এখনো তুলনামূলক কম। মার্চে মৌসুমি চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করে। এ কারণেই এ মাসে চাহিদা বেড়েছে। সে চাহিদার বড় একটি অংশ স্থানীয় উৎপাদন দিয়েই পূরণ সম্ভব। কভিড-পরবর্তী সময়ে কারখানার কার্যক্রম কতটা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। কারণ বিশ্বব্যাপী বর্তমানে ধাতুটির চাহিদা দুর্বল। তার ওপর প্রপার্টি মার্কেটও খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
ম্যাকোয়ারের পণ্যবাজার কৌশলবিদ লিন ঝাও বলেন, ‘এক বছরের ব্যবধানে চীনে ধাতুটির আমদানি কমে যাওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে পরিশোধিত তামার উৎপাদন। আমরা মার্চে দুই লাখ টন পরিশোধিত তামা আমদানির প্রাক্কলন করেছিলাম। গত বছরের একই সময় আমদানি হয়েছিল ৩ লাখ ২ হাজার টন।’
রাষ্ট্রমালিকানাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যানটেইক জানায়, মার্চে পরিশোধিত তামা উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৯০০ টনে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) চীন সব মিলিয়ে ১৩ লাখ টন তামা আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি ১২ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
শুল্ক বিভাগ জানায়, গত মাসে তামার আকরিক ও কনসেনট্রেট আমদানি ২০ লাখ ২০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
এনজে