বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় সুন্দরবন, উপকূল এবং হাওড় এলাকাতে একসময় বিশেষ করে শীতের সময়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর অতিথি পাখি আসত। এর মধ্যে বালি হাঁস, লেঞ্চা বালি হাঁস, রাঙাময়ুরি, পান্থামুখী, চখা-চখি, ও খঞ্চনার মতো অতিথি পাখি বা পরিজায়ী পাখি বেশি দেখা যেত।
কিন্তু বর্তমানে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশে জলাভূমির পরিমাণ আশংকাজনক হারে কমে যাওয়া, এবং অতিথি পাখি নিধনের ফলে পাখির আগমণ অনেকটাই কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশেও পালন হচ্ছে বিশ্ব অতিথি পাখি দিবস।
বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা ভোলায় অতিথি পাখি আসতো প্রচুর, সেখানে এখন পাখি আসার হার কেমন?
ভোলার একজন পাখিপ্রেমী মহসিন টুটুল স্থানীয়ভাবে একজন গাইড হিসেবে কাজ করেন, মি: টুটুল বলছিলেন বিভিন্ন চরে পাখিগুলো এখন আসে শীতের মৌসুমে।
তবে আগের তুলনায় পাখি আসার পরিমাণ এখন কমে গেছে বলে জানান তিনি। দুই থেকে তিনবার এসব পরিজায়ী পাখি ভোলায় আসে বলে জানান মহসিন টুটুল।
ভোলা ও এর আশেপাশের বিভিন্ন চরে এসব পাখি পাঁচ থেকে ছয় মাস থাকে। মূলত নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকে অতিথি পাখিগুলো। ২০০৫ সাল থেকে পাখি আসার হার কমে গেছে বলে জানাচ্ছিলেন মি: টুটুল।
তিনি বলেন আগে এমন পাখি আসতো যে চর দেখা যেত না, খালিচোখে শুধু পাখিই চোখে পড়তো।
তাঁর মতে যেসব এলাকায় পাখিগুলো আসতো সেসব এলাকায় মানুষজনের আনাগোনা বেড়ে যাবার কারণে এবং জেলেদের জাল ফেলার কারনে অতিথি পাখির আসার হার অনেকটাই কমে গেছে।
সানবিডি/ঢাকা/আহো