চলমান রমজান মাসকে কেন্দ্র করে এশিয়ার বাজারে চালের রফতানি মূল্য লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোয় চালের চাহিদা বেশি। এসব দেশ থেকে ক্রয়াদেশ বাড়ার কারণেই মূলত বাজারে এমন উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। এদিকে আগামী মৌসুমে কৃষক থেকে কেনার জন্য চালের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। উদ্দেশ্য বাজার স্থিতিশীল রাখা। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বর্তমানে ভারত বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক। চলতি সপ্তাহে দেশটি প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল ৩৮৫-৩৯২ ডলারে রফতানি করেছে। আগের সপ্তাহে রফতানি করেছিল টনপ্রতি ৩৮৩-৩৮৯ ডলারে। রুপির ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণেই দাম বেড়েছে।
এ বিষয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডাভিত্তিক এক রফতানিকারক জানান, ভারতীয় চালের চাহিদা বাড়ছে। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চেয়ে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য কম। এ কারণে দাম বাড়লেও ক্রেতাদের কাছে প্রথম পছন্দ ভারতীয় চাল।
এদিকে ভিয়েতনাম ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল প্রতি টন ৪৬৫-৪৭০ ডলারে রফতানি করছে। আগের সপ্তাহে রফতানি হয়েছিল ৪৬০ ডলারে। হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, ভিয়েতনামিজ চালের চাহিদা এখনো শক্তিশালী। বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শস্যটির রফতানিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ভিয়েতনাম ১৮ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় ফিলিপাইন ও চীনই ছিল ভিয়েতনামের শীর্ষ ক্রেতা দেশ।
থাইল্যান্ড চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল টনপ্রতি ৪৮৫-৪৯০ ডলারে রফতানি করছে। আগের সপ্তাহে একই চাল রফতানি করেছিল ৪৮০-৪৮২ ডলার মূল্যে।
এনজে