৩.২ শতাংশ কমেছে বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের দাম

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০৪-২১ ১০:৩৬:৩৯


দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক দাম টানা চার নিলামে নিম্নমুখী থাকার পর গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের সর্বশেষ নিলামে (জিডিটি) বেড়েছে। কিন্তু দামে এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ বিশ্ববাজারে বর্তমানে এসব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। অন্যদিকে শীর্ষ দুগ্ধপণ্য আমদানিকারক দেশ চীন কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে আবারো দাম পড়ে যেতে পারে।

জিডিটি নিলামে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচক আগের নিলামের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৬২ ডলার। তবে বাড়লেও এখনো দাম কয়েক বছরের সর্বনিম্নে অবস্থান করছে।

মহামারি করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য চীন কঠোর লকডাউন ও জিরো কভিড নীতি গ্রহণ করার পরই দুগ্ধপণ্যের দাম কমতে শুরু করে। তলানিতে নেমে আসে চাহিদা। গত বছরের শেষ দিকে চীন সব ধরনের বিধিনিষেধ ও লকডাউন উঠিয়ে নিলেও পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে বাজারদর। এর বড় কারণ ঊর্ধ্বমুখী বৈশ্বিক সরবরাহ।

এ বিষয়ে নিউজিল্যান্ডের এএনজেড ব্যাংকের কৃষি অর্থনীতিবিদ সুসান কিলস্‌বি বলেন, ‘‌চীনে দুগ্ধপণ্যের চাহিদায় উন্নতি ঘটেছে। কিন্তু এর আগের মৌসুমে বিক্রি যে হারে কমেছিল, সাম্প্রতিক বিক্রি তাতে ভারসাম্য আনতে পারবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌জিডিটি নিলামে চীন দুগ্ধপণ্য কেনার পরিমাণ কমিয়েছে। তবে অন্য অঞ্চল থেকে ক্রয়ের পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে চাহিদা কমতে দেখা যাচ্ছে। কারণ এসব অঞ্চলে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।’

সবশেষ নিলামে ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধের দাম ১ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টন লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮৯ ডলারে। ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের দাম ৭ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৭৭৬ ডলারে। এছাড়া অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাটের দাম ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, মাখনের দাম ৪ দশমিক ৯ ও চেডার পনিরের দাম ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।

এনজে