রোজা শুরুর আগেও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল মুরগির দাম। মাঝে কিছুটা কমলেও ঈদের আগমুহূর্তে আবারও বাড়ল। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ ও সোনালি জাতের মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে।
দুই দিন আগেও ব্রয়লার মুগির দাম ছিল ২০০ টাকার আশপাশে। দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৪৫ থেকে ২৫৫ টাকায়। একইভাবে সোনালি জাতের মুরগি ৩৩০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজিতে।
নাখালপাড়ার মায়ের দোয়া স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. হেলাল জানান, হঠাৎ দাম বাড়ার কারণে মুরগি বিক্রি দুই দিন বন্ধ রেখেছি। কাপ্তানবাজারে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। তাহলে খুচরা বিক্রি করতে হবে ২৮০ টাকার ওপরে। এ দামে মুরগি বিক্রি করতে গেলে অনেক ঝুঁকি আছে।
বেড়েছে সেমাই ও পোলাওয়ের চালের দাম
শুধু মুরগিই নয়, ঈদের দিনের অন্যতম অনুষঙ্গ সেমাই ও পোলাওয়ের চালের দামও বাড়তি। সব ধরনের লাচ্ছা সেমাই কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং পোলাওয়ের চাল কেজিতে ৩০ থেকে ৪৫ টাকা বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর মালিবাগ, কারওয়ান বাজার ও নাখালপাড়া সমিতির বাজারে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বছর বিভিন্ন কোম্পানির ২০০ গ্রাম সেমাইয়ের প্যাকেটের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, যা ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে এবার বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ৪০০ গ্রামের সেমাইয়ের প্যাকেটের দাম ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, যা এ বছর বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা। খোলা রঙিন লাচ্ছা সেমাইয়ের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
গত বছর এ সেমাইয়ের দাম ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। খোলা সেমাই কেজিতে গত বছরের তুলনায় বেশি খরচ করতে হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এ ধরনের সেমাইয়ের কেজি এখন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
সেমাই ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দেশে আটা-ময়দার দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেমাই তৈরির জন্য ব্যবহৃত ময়দা, তেলসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সেমাইয়ের দামে।
এনিয়ে বাংলাদেশের রুটি, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, সেমাই তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণের দাম ৩০ শতাংশের মতো বেড়েছে। এ জন্য সেমাইয়ের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও বাজারে সুগন্ধি বা পোলাও চালের কোনো অভাব দেখা যায়নি, তবু দাম বেশি। প্যাকেটজাত চালের কেজি ১৫০ থেকে ১৭০ এবং খোলা পোলাও চালের কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত বছর প্যাকেটজাত পোলাও চালের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১২৫ এবং খোলা পোলাও চালের কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এএ