রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকা-ের এ ঘটনাকে জিরো টলারেন্সে দেখছে সরকার। তাই এ হত্যাকা-ে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অতি দ্রুত শিক্ষার কর্ণধার শিক্ষক হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে বলে রাবিতে শিক্ষক-ছাত্র-সুধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন এবং এটা শুধু প্রতিশ্রুতি নয় খুব দ্রুত শিক্ষক হত্যাকারীরা জাতির মুখোমুখি হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
রাবির ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর নৃশংস হত্যাকা-ের প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল শনিবার শিক্ষক-ছাত্র-সুধী সমাবেশের আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
এ সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, রাবির উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
সমাবেশে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় পরিবার হলো শিক্ষা পরিবার। সেই পরিবারের অভিভাবক শিক্ষক হত্যার বিচার না হলে শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয়। শিক্ষা পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে সাতটি দাবি রাখতে চাই। আর এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আশ্বস্ত হতে পারছি না।’
শিক্ষক হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘পুলিশের কাজ অপরাধীকে গ্রেফতার করে কাঠগড়া পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে পরের ধাপে যারা আছেন আপনাদের দাবি তাদের কাছেও পৌঁছাতে হবে। আপনারা ভীত হবেন না তাহলে দুষ্কৃতিকারীরা বিজয়ী হবে।’
শিক্ষক হত্যাকা-ের ২২তম দিনে অপরাধীদের খুঁজে বের করা বা আইনের আওতায় আনার দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয় নি। রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহ আজম শান্তনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। একের পর এক শিক্ষক হত্যাকা-ের ঘটনায় শঙ্কিত শিক্ষক সমাজ। তাই আমরা কথার ফুলঝুড়ি নয়, দৃশ্যমান অগ্রগতি চাই। শিক্ষক হত্যাকা-ের বিচারে অনীহা নয়, প্রয়োজন অ্যাকশন।’
বক্তাদের প্রশ্ন এবং হত্যাকা-ের ঘটনায় তদন্তের বিবরণে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘হত্যাকারীদের শনাক্ত করে কাঠগড়া পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। পুলিশ এ হত্যাকা-ের ঘটনায় নীরব নেই। অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কাজ চলছে এবং আমরা খুত দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। তাই আপনাদের পুলিশের ওপর ভরসা রাখতে হবে।’
সানবিডি/ঢাকা/হৃদয়/এসএস