ফিফা থেকে আরও ৩ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাফুফে
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০৫-০২ ১৮:৪১:৫২
ফুটবল উন্নয়নে ফিফা থেকে আগে ৩.৬২ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি মিলেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। নতুন খবর, বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার থেকে আরও ৩ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাফুফে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাফুফে ভবনে ফেডারেশনের ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভা হয়। কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান মানিক পরে বিষয়টি অবহিত করেন। কমলাপুর স্টেডিয়ামে টার্ফ পরিবর্তন এবং পরিকল্পনাধীন কক্সবাজার স্টেডিয়ামে টার্ফ স্থাপনে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
মানিক বলেন, ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের আওতায় আমরা আরও ৩ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছি। এরইমধ্যে ফিফার সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বাফুফের টার্ফের অবস্থা খুবই খারাপ। ওই জন্য আমরা আমাদের এই দুইটা টার্ফ ঠিক করব ওই টাকা থেকে। এরপর বাকি টাকা দিয়ে আমাদের যে প্রোগ্রাম আছে, কক্সবাজারের একাডেমির বাফুফের প্রোগ্রাম, সেটা আমরা শুরু করব। সেখানে কনসালটেন্ট নিয়োগ করতে হবে, পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য, ডিজাইনার নিয়োগ করতে হবে। আজকে বোর্ডে উপস্থাপন করব এবং বোর্ড অনুমোদন দিলে দ্রুত আমরা শুরু করব।
প্রায় দুবছর আগে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। আগামী জুনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাছ থেকে স্টেডিয়ামটি বুঝে পাওয়ার আশায় ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বাস্তবে ধীর গতিতে চলা সংস্কার কাজের ফলে জুনে বাফুফে স্টেডিয়াম বুঝে পাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
ঢাকার ফুটবল কমলাপুর স্টেডিয়ামকে ঘিরেই চলছে। সাফ থেকে এএফসি- সব ম্যাচের আয়োজন এ ভেন্যুতেই হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কবে খেলা গড়াবে সেই অনিশ্চয়তার মাঝে কমলাপুরের টার্ফ পরিবর্তন করা হলে ঢাকায় ম্যাচ আয়োজন থমকে যেতে পারে।
মানিক বলেন, ‘আশা করি আমরা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জলদি পেয়ে যাব। সবকিছু মাথায় রেখেই কমলাপুরের কাজ শুরু হবে।’
ফিফার সাথে আলোচনা করেই কমলাপুর ও কক্সবাজার স্টেডিয়ামে টার্ফ স্থাপনে অর্থ ব্যয় করা হবে, এমনই জানালেন মানিক।
‘ফিফাও জানে যে দুটো টার্ফের অবস্থাই খুব খারাপ। কমলাপুরের টার্ফে অনেক টুর্নামেন্ট হয়েছে, এএফসি ও সাফের। সেখানে মাঠের অবস্থা ভালো না, সেটা তারা জানে। তারাই আমাদের পরামর্শ দিয়েছে টার্ফ দুটো পরিবর্তন করতে, বাকি অর্থটা কক্সবাজারে ব্যবহার করা যাবে।’
‘আমরা বোর্ডে উপস্থাপন করব, বোর্ড যদি অনুমোদন দেয় তাহলে আমরা শুরু করব। নিশ্চয়ই জানেন, উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এগুলো করতে হবে। দরপত্র প্রক্রিয়া, কনসালটেন্ট নিয়োগ, পরিবেশ সংক্রান্ত কনসালটেন্ট নিয়োগ, এগুলো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আজ যদি বোর্ড অনুমোদন দেয়, তাহলে আমরা এ সপ্তাহের মধ্যেই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিবো।’
এএ