ছোটদের বাথরুমের কাজটা তাদের মায়েরা ডায়াপার দিয়ে সারেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে বড়রাও ডায়াপার পরছেন। সেটি অবশ্য ইচ্ছে করে নয়, কাজের চাপে বাথরুম সারার সময় পাচ্ছেন না বলে। খবর ফরবেসের। দেশটির পোল্ট্রি শিল্পের চাহিদা অনেক বেশি, তড়িঘড়ি উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে কারখানার কর্মীরা বাথরুমে পর্যন্ত যেতে পারছেন না!
তাই দিনের পর দিন ডায়াপার পরেই কাজ করতে হচ্ছে তাদের। 'অক্সফ্যাম-আমেরিকা’র করা একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষা চালানো হয়েছিল নামী পোল্ট্রি সংস্থাগুলোর কর্মীদের ওপর। তার মধ্যে রয়েছে 'টাইসন ফুডস'‚ 'পিলগ্রিমস', ‘পার্দ্যু’-র মতো নামজাদা সংস্থাগুলো। ২৬৬ জন কর্মীর মধ্যে চালানো এই সমীক্ষার ৮০% কর্মী জানিয়েছেন, তাদের টয়লেটে যাওয়ার জন্য 'ডিউটি আওয়ার্স'-এ কোনো 'ব্রেক' দেয়া হয় না।
তাই ডায়াপার পরেই কাজ করতে হয়। পরিসংখ্যান বলছে‚ একটা পোলট্রি ফার্মে সারা দিনে গড়ে অন্তত ১ লাখ ৮০ হাজার পাখি 'প্রসেস' করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পোল্ট্রি শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতিটা এখন এ রকমই। চলন্ত কনভেয়ার বেল্টে স্তূপীকৃত মুরগী। ছুরি, কাঁচি নিয়ে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে শ্রমিকেরা। মেরে, কেটে, ছাল ছাড়িয়ে, পরিষ্কার মাংস বার করে প্যাকেটবন্দি হচ্ছে মুরগীগুলো। কাজের গতি, মিনিটে ১৪০টি মুরগি। তা হলেই ভেবে দেখুন, কাজের চাপ কী সাংঘাতিক! শ্রম আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এভাবেই কাজ করানো হচ্ছে এই খাদ্যশ্রমিকদের। পোল্ট্রি সংস্থাগুলো অবশ্য এই ডায়াপার পরে কাজ করানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস