দুই মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে থাইল্যান্ডের চালের রফতানি মূল্য। বাড়তে থাকা ক্রয়াদেশ ও নিম্নমুখী সরবরাহের কারণেই মূলত দামে এমন উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভারতের চালের রফতানি মূল্য টানা দ্বিতীয় মাসের মতো কমল।
কিছুদিনের মধ্যেই ধান কাটার মৌসুম শেষ হতে যাচ্ছে। ফলে দেশটিতে চালের সরবরাহ কমে আসছে। তাই ক্রেতা দেশগুলো দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ক্রয়াদেশ বাড়িয়ে দিয়েছে।
থাইল্যান্ড চলতি সপ্তাহে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ৪৯০-৪৯৫ ডলারে রফতানি করছে, যা ৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহে দেশটি রফতানি করেছিল ৪৮০ ডলারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, থাইল্যান্ডের মুদ্রার বিনিময় হারে উত্থান-পতন, ঊর্ধ্বমুখী ক্রয়াদেশ ও কমতে থাকা সরবরাহ মূল্যবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। থাই মুদ্রার দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্য মুদ্রার ক্রেতাদের কাছে চালের দাম বেড়েছে। ইন্দোনেশিয়া ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা মেটাতে চাল আমদানি বাড়িয়েছে। আর এক্ষেত্রে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ উৎস থাইল্যান্ড। সেখানকার চাল রফতানিকারকরা ইন্দোনেশিয়া থেকে সম্প্রতি অনেক বেশি ক্রয়াদেশ পাচ্ছেন। ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া প্রায় পাঁচ লাখ টন চাল কিনেছে।’
দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে থাইল্যান্ড ২০ লাখ ৬০ হাজার টন চাল রফতানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছে।
ভারত চলতি সপ্তাহে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল ৩৭৮-৩৮২ ডলারে রফতানি করেছে, যা ১৩ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। গত সপ্তাহে রফতানি করা হয়েছিল ৩৮২-৩৮৮ ডলারে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় চাল রফতানিকারক সত্যম বালাজির নির্বাহী পরিচালক হিমাংশু আগারওয়াল বলেন, ‘চালের চাহিদা শ্লথ। এ কারণে দামও কমে আসছে।’
অন্যদিকে ভিয়েতনাম চলতি সপ্তাহে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ৪৯৫-৫০০ ডলারে রফতানি করছে। গত সপ্তাহেও একই দামে রফতানি হয়েছিল। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের সমপর্যায়ে পণ্যটির দাম অবস্থান করছে।
এনজে