এশিয়ায় গত মাসে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি কমেছে। এ সময় শীর্ষ ক্রেতা চীন ও জাপান সীমিত পরিমাণে ক্রয় করায় আমদানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় আমদানি কিছুটা বেড়েছে। খবর রয়টার্স।
এ বিষয়ে পণ্যবাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলারের দেয়া তথ্যমতে, এশিয়ায় গত এপ্রিলে এলএনজি আমদানি হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার টন। মার্চে যা ছিল ২ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার ও ফেব্রুয়ারিতে ২ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার টন।
এদিকে এশিয়ায় কমলেও ইউরোপের দেশগুলো আমদানি বাড়াচ্ছে। টানা তিন মাস ধরে আমদানি ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে গত মাসে আমদানি হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টন, যা ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বোচ্চ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউরোপে এলএনজির চাহিদা বাড়ছে। একের পর এক নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া ইউক্রেনে পাইপলাইনের মাধ্যমে এলএনজি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বিকল্প উৎস থেকে ইউরোপকে জ্বালানিটি আমদানি করতে হচ্ছে।
মূলত সংকট এড়াতেই বেশি এলএনজি আমদানি করছে ব্লকটি। ইউটিলিটিগুলো আগামী শীতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে এখন থেকেই মজুদ বাড়াচ্ছে। আগামী মাসগুলোয় আমদানি বাড়া-কমা নির্ভর করছে মজুদ পরিস্থিতির ওপর।
এশিয়ার আমদানিও আগামী মাসগুলোয় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ স্পট মার্কেটে দাম কমায় ভারত ও পাকিস্তানের মতো মূল্যসংবেদনশীল ক্রেতারা আমদানির পরিমাণ আরো বাড়াতে পারে।
স্পট মার্কেটে ২৮ এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে উত্তর এশিয়ার জন্য প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম কমে ১১ ডলার ৫ সেন্টে নেমেছে, যা ২০২১ সালের জুনের পর সর্বনিম্ন।
এশিয়ায় গত মাসে আমদানি কমে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে জাপান ও চীন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় চাহিদা বাড়লেও জাপান আমদানি কমিয়ে দেয়ায় তা পুরো এশিয়ার আমদানিতে নিম্নমুখী প্রভাব তৈরি করেছে। এপ্রিলে দেশটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করে, যা গত বছরের অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন। মার্চে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টন।
চীনে জ্বালানি চাহিদা পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠলেও আমদানিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি। এপ্রিলে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫২ লাখ ৩০ হাজার টন, যা মার্চে ছিল ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টন।
এনজে