একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী ও জামায়াতে ইসলামীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করায় বাংলাদেশ থেকে রাষ্টদূত প্রত্যাহার করেছে তুরস্ক। এবার ইউরোপের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ফাঁসির বিষয়ে নিরব থাকায় ইউরোপের বিরুদ্ধে দ্বৈত নীতির অভিযোগ এনেছেন তিনি। রবিবার বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসতাম্বুলে টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় এরদোয়ান বলেন, ''আপনি যদি রাজনৈতিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিরোধী হন, তাহলে কেন মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে চুপ রয়েছেন, যিনি কয়েকদিন আগে শহীদ হয়েছেন। আপনি ইউরোপ থেকে কি কিছু শুনেছেন?... না। এটিকে কী দ্বৈত নীতি বলা যায় না?''
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গণহত্যা ও বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পনা জড়িত অভিযোগে গত সপ্তাহে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াত নেতা নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার তুরস্ক বাংলাদেশে নিযুক্ত সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়।
২০০২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তুরস্কের ক্ষমতাসীন কট্টর ইসলামপন্থী জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি (একে) মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
বাংলাদেশের জামায়াত নেতার ফাঁসির আগে গত বছর একইভাবে মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ফাঁসির রায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, জনপ্রিয় ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এটি 'প্রাচীন মিসরে' ফিরে যাওয়ার মতো।
সানবিসি/ঢাকা/এসএস