আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সবশেষ কর্মদিবসে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ফিউচারস এক্সচেঞ্জে (আইসিই) অপরিশোধিত খাদ্যপণ্যটির দর বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার (৫ মে) আইসিই’তে অপরিশোধিত চিনির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। প্রতি পাউন্ডের দাম স্থির হয়েছে ২৫ দশমিক ৮২ সেন্টে। গত সপ্তাহে ভোগ্যপণ্যটির দর ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ওঠে।
বিক্রেতারা বলছেন, আগের সপ্তাহে চিনির দাম বাড়তি ছিল। সেটা এখনও আছে বলে মনে হচ্ছে।
তারা জানিয়েছেন-ভারত, থাইল্যান্ড, চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) চিনির সরবরাহ আঁটসাঁট রয়েছে। ফলে সামনেও খাদ্যপণ্যটির বাজার চড়া থাকবে। তবে নিত্যপণ্য হওয়ায় খাবারটির দর কমা উচিত।
বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদক ব্রাজিল। আসন্ন মৌসুমে দেশটির মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চলে বছরওয়ারি উৎপাদন ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনে পৌঁছবে। রেকর্ড উৎপন্নের যা কাছাকাছি।
কৃষি বিষয়ক কনসাল্টেন্সি ফার্ম দাতাগ্রো এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে চিনির সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ফলে ভোগ্যপণ্যটির দরপতন ঘটতে পারতো।
তবে ব্যবসায়ী সুকডেন জানিয়েছেন, ব্রাজিলে বন্দরে পণ্য জট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চিনি রপ্তানি মাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন টনে সীমাবদ্ধ করবে দেশটির সরকার।
এর আগে আগস্টে সাদা চিনির সরবরাহ মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি টনের দাম স্থির হয়েছে ৭০২ ডলার ৪০ সেন্টে।
এএ