২০২২-২০২৩ বিপণন মৌসুমে ভারতে চিনি উৎপাদন আরো কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৩ কোটি ২৮ লাখ টনে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রধান প্রধান প্রদেশে আখ উৎপাদন কমে গেছে। এ কারণে ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (ইসমা) উৎপাদন পূর্বাভাস আগের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়েছে। খবর দ্য ইন্ডিয়া টাইমস।
বর্তমানে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চিনি রফতানিকারক দেশ। উৎপাদন কমলে দেশটির রফতানিও সীমিত হয়ে পড়বে। এমন আশঙ্কায় এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে ভোগ্যপণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে ভারতের পিছিয়ে পড়ার সুযোগে রফতানি বাড়াতে সক্ষম হবে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল ও থাইল্যান্ড।
ইসমা জানায়, আখ বেড়ে ওঠার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়ে বৃষ্টিপাত ছিল না। কিন্তু যখন প্রয়োজন নেই তখন অতিবৃষ্টি হয়েছে। মূলত এ কারণেই আখের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারত গত মৌসুমে ৩ কোটি ৫৮ লাখ টন চিনি উৎপাদন করে। জানুয়ারিতে দেয়া পূর্বাভাসে এ মৌসুমে ৩ কোটি ৪০ লাখ টন উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছিল ইসমা। কিন্তু চলতি মাসে তা ১২ লাখ টন কমানো হয়েছে।
ভারতে মোট উৎপাদিত চিনির সিংহভাগই আসে মহারাষ্ট্র থেকে। ইসমার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ প্রদেশে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ৫ লাখ টনে। এর আগের মৌসুমে যা ছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ টন।
২০২২-২৩ মৌসুমে ভারতের মিলগুলোকে প্রথম ধাপে ৬১ লাখ টন চিনি রফতানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত মৌসুমে দেশটি সব মিলিয়ে রফতানি করেছিল ১ কোটি ১২ লাখ টন।
দেশটি মূলত ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, সুদান, সোমালিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে চিনি রফতানি করে।
ইসমা জানায়, উৎপাদন কমলেও ভারতে স্থানীয় ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত চিনির সরবরাহ থাকবে। ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াবে ২ কোটি ৭৫ লাখ টনে।
এনজে