গত এক মাসে এক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বেড়েছে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচক।জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মাসভিত্তিক মূল্যসূচক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। চীনসহ শীর্ষ অর্থনীতিগুলো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় মূল্যসূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
রাশিয়া গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে সব পণ্যের দাম। মার্চে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলে। তবে এর পর প্রতি মাসেই খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক কমেছে। এবার প্রথমবারের মতো দাম বাড়লেও তা রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ের ২০ শতাংশ নিচে অবস্থান করছে।
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া খাদ্যপণ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসে মূল্যসূচক তৈরি করে এফএও। সূচকটি গত মাসে বেড়ে ১২৭ দশমিক ২ পয়েন্টে পৌঁছে, যা মার্চে ছিল ১২৬ দশমিক ৫ পয়েন্ট।
রোমভিত্তিক সংস্থাটি জানায়, দানাদার খাদ্যশস্য, দুগ্ধপণ্য ও উদ্ভিজ্জ তেলের দাম গত মাসে কমেছে। কিন্তু চিনি, মাংস ও চালের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি সূচককে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে।
এফএওর শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টোরেরো বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলো বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে চীন জিরো কভিড-১৯ নীতি থেকে সরে আসায় দেশটিতে খাদ্যপণ্যের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করেছে, যা খাদ্যপণ্যের দামকে ঊর্ধ্বমুখী চাপে ফেলছে।’