সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে চুলের বেশ বড় ভূমিকা থাকে। তাই সুন্দর ও ঘন চুল সকলেরই প্রত্যাশা। সুন্দর, ঘন কালো চুল আপনাকে করে তুলতে পারে আরো মোহনীয় ও স্নিগ্ধ। চুলের সৌন্দর্যের জন্য আমরা নানা কিছু ব্যবহার করে থাকি। এসব অনেক উপাদানই হয়ত চুলে পুষ্টি যোগায়, কিন্তু পাশাপাশি না জেনে আমরা চুলের ক্ষতিও করে থাকি। ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আস্তে আস্তে পাতলা হতে শুরু করে। এক্ষেত্রে সমাধানের আগে সমস্যা জানা দরকার যে, কী কী অভ্যাসের ফলে অজান্তে আমরা চুলের ক্ষতিসাধন করছি, যার কারণে চুলের ঘনত্ব কমে যায়- চুল হয়ে পড়ে পাতলা।১) ভেজা চুল আঁচড়ানো: ভেজা চুল আঁচড়ানো হল অন্যতম বড় ভুল। কেননা ভেজা চুল আঁচড়ালে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়, দু'মুখো চুলের সমস্যা বাড়ে। চুল পাতলা হয়ে যায়।
২) নোংরা চুল: বিশেষজ্ঞদের মতে আপনি যদি দেখেন চুল তেলতেল বা চটচটে হতে শুরু করেছে, তাহলে তখনই মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। চুল তেলতেল হওয়া মানে চুল নোংরা হতে শুরু করেছে।
৩) অতিরিক্ত তেল লাগানো: চুলে তেল লাগানো ভালো। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে তেল লাগানো মোটেই ভালো না। এতে মাথার ত্বকের সূক্ষ্ম রন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায়। প্রাকৃতিক তেল উৎপন্ন হতে পারে না। তাই মাথার তালুতে তেল না লাগিয়ে শুধুমাত্র চুলে তেল লাগান। মাথার ত্বক এড়িয়ে চলুন।
৪) কেমিক্যালের ব্যবহার: হেয়ার স্টাইলিংয়ের জন্য কেমিক্যাল যুক্ত একাধিক ক্রিম, সিরাম, স্প্রে পাওয়া যায়। এই দ্রব্যগুলো চুলকে প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে চুল পাতলা হয়ে যায়, ভাঙতে শুরু করে। মাঝে মধ্যে ব্যবহার করা ঠিক আছে, কিন্তু ঘন ঘন ব্যবহার করা উচিত নয়। তার বদলে ঘরে বসেই বানান ভেষজ উপাদান।
৫) চুলে কৃত্রিম রং: শখের বশে চুলে একবার রং করাতে পারেন। কিন্তু বারবার রং করালে তা চুলকে রুক্ষ করে। চুলের গোড়া আলগা করে। ফলে চুল পড়ে চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে।
৬) চুলে তাপের প্রয়োগ: হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার স্ট্রেটনার, কার্লার এই ধরনের দ্রব্যে বিদ্যুৎ সহযোগে চুলে তাপের ব্যবহার করা হয়। আর এতে চুল প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুল হয়ে পড়ে পাতলা, রুক্ষ।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস