বিমা গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের ৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত উল্ল্যাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থার জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি মো. হেমায়েত উল্ল্যাহ প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ঢাকার ৩টি ব্যাংকে ১৫টি হিসাব খোলেন। একই সাথে ওই হিসাবগুলোতে নিজেকেই নমিনি হিসেবে দেখান। পরে ওই হিসাবগুলোতে ফারইস্টের ৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে জমা করেন এবং পরবর্তীতে নিজে আত্মসাত করেন।
ঘটনার বিবরণীতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) বিভাগ থেকে মো. হেমায়েত উল্ল্যাহর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। দুদকের পর্যালোচনায় বেরিয়ে আসে, মো. হেমায়েত উল্ল্যাহ ওই পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহা করে কোম্পানিতে কর্মরত ৭ জন কর্মকর্তার (সাবেক এসইভিপি সৈয়দ আব্দুল মতিন, সাবেক ইভিপি মো. ইব্রাহিম, এসইভিপি মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, ইভিপি মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ইভিপি মো. মাহবুবুল মাওলা, সাবেক ইভিপি এইচ এম নুরুল কবীর তৌহিদী ও মোস্তফা জামান হামিদী স্বাধীন) নামে গুলশানের ওয়ান ব্যাংকে হিসাব খোলেন। এছাড়া আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখায় ওই কর্মকর্তাদের নামে ১৩টি হিসাব এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের তোপখানা রোড শাখায় একই পদ্ধতি অবলম্বন করে আরও ২টি হিসাব খোলেন। সবগুলো হিসাবে নিজেকে নমিনি করেন তিনি। ওই হিসাবগুলোতে ক্লিয়ারিংযের মাধ্যমে স্থানান্তর করে মোট ৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা জমা করা হয়। আর ওই অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাত করেন মো. হেমায়েত উল্লাহ।
আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এএ