এবছর ভারতে বৈরী আবহাওয়ায় জিরা উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।অপ্রতুল সরবরাহের কারণে সেখানকার ব্যবসায়ীরা মসলাপণ্যটি বেশি দামে রফতানি করছেন। ফলে গত মাসে দেশটি থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি আগের মাসের চেয়ে কমে অর্ধেকে নেমেছে। আমদানি কমে যাওয়ায় দেশের বাজারে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় ২০০ টাকা। এদিকে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম মজুদের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
এ বিষয়ে হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এ বন্দর দিয়ে এপ্রিলে ৮৫টি ট্রাকে ২ হাজার ৩৯১ টন জিরা আমদানি হয়েছে। মার্চে ১৫৬টি ট্রাকে ৪ হাজার ২৭৬ টন আমদানি হয়েছিল।
হিলি বাজারে দেখা গেছে, প্রায় সব মুদি দোকানেই জিরাসহ অন্যান্য মসলার যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তার পরও দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি জিরা ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ৫৮০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মূলত ভারতের বাজারে জিরার দাম বাড়ায় দেশের বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ছে। যেখান থেকে পণ্যটি আমদানি করা হচ্ছে, সেখানেই সরবরাহ সংকট। আগে প্রতি কেজি জিরা আমদানিতে ৯৬ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। এখন ডলার রেট বাড়ায় কেজিপ্রতি ১০৬ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি অব্যাহত। তবে আমদানির পরিমাণ আগের চেয়ে খানিকটা কমেছে। আগে বন্দর দিয়ে ১৫-২০ ট্রাক জিরা আমদানি হতো। বর্তমানে তা কমে তিন-পাঁচ ট্রাকে নেমেছে। আমদানি কমায় রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’
এনজে