জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত দুটি আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
গত ১৫ মে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে পুনরায় জেরা ও মামলার তদন্ত নথি তলব চেয়ে করা আবেদন দুটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ খালেদা জিয়ার রিভিশন আবেদন খারিজ করেন।
হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে বুধবার (১৮ মে) সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। বিষয়টি বাংলামেইলকে জানিয়েছেন আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী।
গত ২১ এপ্রিল অবকাশের সময় হাইকোর্টের বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত নিয়মিত বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন করার জন্য বলেন।
ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলমান আছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট ৫ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন, তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।