বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ তুলা উৎপাদক দেশ চীন।দেশটিতে চলতি বছর তুলা উৎপাদন কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তীব্র ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় এবার তুলাবীজ বপন করতে দেরি হয়েছে। অনেক এলাকায় বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুলা গাছ। এছাড়া সরকার খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানানোয় অনেক কৃষক তুলার আবাদ কমিয়ে দিয়েছেন। খবর দি ইকোনমিক টাইমস।
চীনের নেতৃস্থানীয় তুলা ব্যবসায়ী ও প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান হেবেই শিংজু টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়াল কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার জিও চাও বলেন, ‘এ বছর তুলা উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ১০ লাখ টনের বেশি কমতে পারে। ২০২২ সালে চীন ৬০ লাখ টন তুলা উৎপাদন করে। সে হিসাবে এ বছর উৎপাদন ১৫ শতাংশ কমবে।’
চীন বিশ্বের শীর্ষ টেক্সটাইল উৎপাদক ও শীর্ষস্থানীয় তুলা আমদানিকারক দেশও। উৎপাদনে কোনো রকম ঘাটতি দেখা দিলেই দেশটিকে আমদানির ওপর জোর দিতে হবে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কায় টেক্সটাইল পণ্য রফতানিকারকদের হতাশায় দিন কাটছে। কারণ বিশ্বজুড়ে এখন তুলার চাহিদা নিম্নমুখী। এ পরিস্থিতিতে চীনে চাহিদা বাড়লে তা রফতানিকারকদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে।
খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চীনের সরকার লম্বা সময় ধরেই দেশটির কৃষকদের তুলার বদলে খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করে আসছিল। ঠিক এমন সময় অপ্রত্যাশিত ঠাণ্ডা আবহাওয়া দেশটির প্রধান তুলা আবাদি অঞ্চল জিংশিয়াংয়ে উৎপাদন ব্যাহত করছে।
এ বিষয়ে চীনের পণ্যবাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মাইস্টিলের দেয়া তথ্যমতে, কিছু অঞ্চলের তুলাচাষীদের তাদের জমির ১০ শতাংশের বেশি জায়গায় তুলা আবাদ করতে বলেছে সরকার। প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, এ কারণে গত বছরের তুলনায় চীনে এবার তুলা আবাদ ১০ শতাংশ কমতে পারে।
তবে এখনো এ পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় আছে। চলতি সপ্তাহে তুলনামূলক উষ্ণ ও রৌদ্রকরোজ্জ্বল আবহাওয়ার প্রভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
চীনে এপ্রিলের শুরুর দিকেই সাধারণত তুলা আবাদ শুরু হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, এ সময় জিংশিয়াংয়ের ৯০ শতাংশ আবাদই সম্পন্ন হয়েছে।
এনজে