সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বওমি মাদরাসা ‘জামেয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহ’র মুহতামিম, বাংলাদেশ উলামা পরিষদের সভাপতি, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক- প্রথিতযশা আলেম শায়খুল হাদিস মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল হক (গাছবাড়ি) আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বুধবার মাগরিবের নামাজের পর তিনি দরগাহ মাদরাসায় তার নিজ বিশ্রামকক্ষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে মুফতি মুহিব্বুল হকের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা খলিলু রহমান।
তিনি বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে জানান, বুধবার দিনে কোম্পানীগঞ্জে কয়েকটি মাহফিলে হুজুর অংশগ্রহণ করেন। আছরের নামাজ এসে আদায় করেন দরগাহ মাদরাসায়। আছরের পরে হুজুর তার বিশ্রামকক্ষে ছিলেন। মাগরিবের ওয়াক্তে হুজুরের শারীরিক অবস্থা হঠাৎ খারাপ হয়। মাগরিবের নামাজ শেষে সঙ্গে সঙ্গে হুজুরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা বলেছেন- হুজুর স্ট্রোক করেছেন। বর্তমানে হুজুরের লাশ দরগাহ মাদরাসায় রাখা হয়েছে। দাফন ও জানাযার বিষয়ে সিলেটের আলেমরা বসে পরে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে, শায়খুল হাদিস মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল হক (গাছবাড়ি)-এর ইন্তেকালের খবরে সিলেটের আলেম সমাজসগ ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাকে এক নজর দেখার জন্য দরগাহ মাদরাসায় নামতে শুরু করেছে জনতার ঢল। মুহিব্বুল হক (গাছবাড়ি) সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
এএ