[caption id="attachment_26152" align="alignright" width="574"] ছবি: রয়টার্স।[/caption]
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়— রাত জেগে টিভি দেখা, বেশি খেয়ে ঘুমানো কিংবা অফিস ফিরে পোশাক দেরিতে বদলানোর মতো বদভ্যাসগুলো যেমন অতিরিক্ত সময় খরচ করে তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যেও ক্ষতিকর।
তাই সময় থাকতে এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।
ঘরে ফিরে কাপড় না বদলানো: বাইরে থেকে এসে কাপড় না বদলেই আনুসঙ্গিক কাজে লেগে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকের। ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষার্থে বাইরে থেকে আসার পর প্রথম কাজ হওয়া উচিৎ কাপড় পাল্টে হাত-মুখ ধোয়া, সম্ভব হলে গোসল করা। অফিসের কাজ ও যাতায়াতের কারণে তৈরি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার সব থেকে ভালো উপায় এটি।
অপর্যাপ্ত পানি পান: সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি পানের পরিমাণ মাথায় থাকলেও বাসায় ফিরে এই হিসেব আর মনে থাকে না। গরমের দিনে পানি বাদ দিয়ে কোমল পানীয়ের দিকে ঝোঁক বেশি থাকে অনেকের, যা মোটেও ঠিক কাজ না। রাতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
নাস্তা: অফিস শেষে ঘরে ফিরে সোফায় শরীর এলিয়ে এক কাপ চা, সঙ্গে মুখরোচক ভাজা-পোড়া, ভাবতেই লোভ লাগে। চা খাওয়ায় সমস্যা নেই। তবে সঙ্গের নাস্তা হওয়া চাই স্বাস্থ্যকর। তাই সন্ধ্যার চায়ের সঙ্গে ভাজা-পোড়ার বদলে একমুঠ বাদম নিয়ে বসুন। কারণ রাতের খাবারে খুব একটা দেরি নেই।
অতিরিক্ত টেলিভিশন: ক্লান্ত শরীর নিয়ে টেলিভিশন দেখতে বসে গেলেন। ভাবলেন এতে বিশ্রাম হচ্ছে। তবে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টেলিভিশন দেখা উচিৎ হবে না। রাতের খাবারের আগ পর্যন্ত বই পড়ে কিংবা অন্য কোনো শখের কাজ করে সময় পার করুন।
রাতের খাবার: সকালের নাস্তাকে বলা হয় দিনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। তাই বলে রাতের খাবারকে অবহেলা করা চলবে না।
রাতের খাবারটা সারাদিনের মধ্যে সব চাইতে হালকা খাবার হওয়া দরকার। কারণ কিছুক্ষন পরেই ঘুমাতে যাবেন। আর এসময় পরিপাকতন্ত্রেকে বাড়তি কাজ করতে হলে ঘুমেও ব্যঘাত ঘটবে। দুধের সঙ্গে সিরিয়াল কিংবা টোস্ট, সুপ, ডাল, সালাদ, ফল ইত্যাদি হতে পারে আদর্শ রাতের খাবার।
খাওয়ার পরে, শোবার আগে: বিছানার যাওয়ার আগে ঘরেই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে। টেলিভিশন, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, কম্পিউটার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এতে ঘুমের সমস্যা হয়। এসবের পরিবর্তে বই পড়ুন। এতে আপনার স্নায়ু শিথিল হবে, ঘুমাতে সুবিধা হবে।