দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুই মাসে ১৩ হাজার অবৈধ অভিবাসী ‘স্বেচ্ছায় প্রস্থান’ কর্মসূচির আওতায় তাদের নিজ দেশে ফেরত গেছেন। করোনা সংক্রমণ বিরতির পর গত অক্টোবর থেকে অবৈধভাবে কাজ করা বিদেশিদের বিরুদ্ধে আটক অভিযান আবার শুরু করেছে সরকার।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বিচার মন্ত্রণালয়, ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সি, কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়, ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং কোরিয়া কোস্ট গার্ডসহ ৫টি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে অভিবাসী আটকে একযোগে কাজ করছে।
গত ২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সবশেষ আটক অভিযান পরিচালনা করা হয় দেশটির বিনোদন পরিষেবাসহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরি, কলকারখানা, হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, বাজার ও ট্রেন-বাস স্টেশনে। এতে মোট ৭৫৭৮ জন অবৈধ কর্মী আটক এবং তাদের মধ্যে ৬৮৬৩ জনকে বাধ্য করা হয় দেশত্যাগ করতে। তবে আটকদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক কিংবা কোন দেশের কতজন রয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অন্য ২০৮ জনকে জরিমানা করা হয়েছে এবং বাকি অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। অতিরিক্ত ৫২৪৭ জন অবৈধ অভিবাসী স্বেচ্ছায় প্রস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে দেশ ত্যাগ করেছেন। যেখানে জরিমানা ছাড় এবং প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়াও ১৭০১ জন কোরিয়ান নিয়োগকর্তাকে অবৈধ অভিবাসী রাখার দায়ে এবং ১২ জন অবৈধ কর্মসংস্থান আদম দালালকে আটক করে জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, কোরিয়ায় বছরে চারবার অনিয়মিত অভিবাসীর বিরুদ্ধে সরকার অভিযান পরিচালনা করবে। বিদেশিরা যে এলাকায় বেশি কাজ করে সেখানে পরিদর্শন ও টহল পরিচালনা করবে। এই যৌথ অভিযান চলাকালীন যদি মালিক যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই তথ্য দিতে অস্বীকার করে এবং অনুসন্ধানে অবৈধ অভিবাসী ধরা পরে তাহলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
এনজে