ভিয়েতনামে সরবরাহ সংকুচিত হওয়ায় কফির দাম বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে কফি বিনের দাম ছাড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক বাজারকেও। মজুদ নিম্নমুখী থাকায় বাজার দর আরো বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একই সময়ে চলতি মৌসুমে উৎপাদন কমেছে ইন্দোনেশিয়ায়। খবর রয়টার্স।
এ বিষয়ে রেফিনিটিভ এইকন প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ভিয়েতনামের কৃষকরা কফি বিন বিক্রি করেছেন প্রতি কিলোগ্রাম ৫৫ হাজার ২০০ থেকে ৫৭ হাজার ৫০০ ডং পর্যন্ত। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৫৩ হাজার ২০০ থেকে ৫৪ হাজার ২০০ ডং পর্যন্ত। জুলাইয়ের জন্য ভবিষ্যৎ সরবরাহ বাজারে রোবাস্তা কফির দাম ১০১ ডলার বেড়ে ২ হাজার ৫৮২ ডলারে স্থির হয়েছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ব্যবসায়ীদের অনেকের দাবি, চলতি সপ্তাহে কফি বিনের দাম ছাপিয়ে গেছে ১৬ বছরের রেকর্ড। হো চি মিন সিটির ব্যবসায়ীরা জানান, এশিয়ার বাজারে বর্তমানে কফি বিন কেনার জন্য চুক্তি করা অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দামও তুলনামূলক বেশি। সেই সঙ্গে রয়েছে সীমিত সরবরাহের সমস্যা। রফতানি দামে অস্থিতিশীলতার প্রধান কারণই ছিল অর্থনৈতিক কার্যক্রম কমে আসা ও মজুদের সূচকে অবনমন।
ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা ৫ শতাংশ ছাড় দিয়েছেন কালো ও ব্রোকেন-গ্রেড-২ রোবাস্তা বিক্রিতে। জুলাইয়ের জন্য ভবিষ্যৎ সরবরাহ বাজারে প্রতি টন বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ ডলারে। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় কফি বিন জুলাইয়ের জন্য সরবরাহ বাজারে ১৪০ ডলারে বিক্রি হয়েছে। অথচ গত মাসে দাম ছিল ৬০ ডলার। মূল্য বাড়ার প্রধান কারণ মূলত ইন্দোনেশিয়ার উৎপাদন কমে আসা।
এনজে