দেশে কয়েক মাস ধরে বাড়তির দিকে পেঁয়াজের দাম। দেশীয় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পান সেজন্য গত মার্চের মাঝামাঝিতে আমদানি বন্ধ রাখা হয়। এতে দেশীয় পেঁয়াজের বাজার বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। সম্প্রতি দেশীয় বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রীর এ ঘোষণার পর একদিনেই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি কমেছে ১০ টাকা।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির খবরে আবারো একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৯-১২ টাকা। একদিন আগে প্রতি কেজি দেশীয় পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৬৬-৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে হিলি বাজারে দেখা যায়, বাজারের প্রায় প্রতিটি দোকানেই দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ লক্ষ করা গেছে। তারপরও সরবরাহ কমের অজুহাতে দাম ওঠানামা করছে। এদিকে পেঁয়াজের এমন দামের কারণে অনেকেই ক্রয় কমিয়ে দিয়েছেন। এতে বাজারে পেঁয়াজের তেমন একটা ক্রেতা লক্ষ করা যায়নি। যারাও আসছেন তারাও আগের তুলনায় পরিমাণ কমিয়ে পেঁয়াজ কিনছেন।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সেলিম হোসেন বলেন, ‘দেশীয় কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত ১৫ মার্চের পর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রেখেছে সরকার। এতে দুই মাসের বেশি সময় ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে চলেছেন। এখন কিন্তু কৃষকের ঘরে তেমন পেঁয়াজ নেই, অধিকাংশ পেঁয়াজ মজুদদারদের ঘরে রয়েছে। যে কারণে দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে।’
এনজে