লক্ষণীয় মাত্রায় দাম কমা সত্ত্বেও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এশিয়ার বাজারে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদা। দাম আকাশচুম্বী হয়ে ওঠার পর যেসব ক্রেতা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল তাদের অনেকেই এখনো ফিরে আসেনি। অন্যদিকে ইউরোপে নিম্নমুখী চাহিদাও এশিয়ার বাজারে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারেনি।
আইএইচএস মার্কিটের দেয়া তথ্য বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে চাহিদা বাড়লে এশিয়ার বড় বাজার চীন, জাপান ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় কমেছে ব্যাপক হারে। এটিই এ অঞ্চলের মোট চাহিদা কমার পেছনে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে।
চাহিদায় এমন নিম্নমুখী প্রবণতার ফলে টানা ষষ্ঠ প্রান্তিকে এশিয়ার দেশগুলোয় এলএনজি আমদানি কমেছে। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধলে জ্বালানিটির দাম আকাশচুম্বী হয়ে ওঠার পরই এ প্রবণতা শুরু হয়।
যুদ্ধের প্রভাবে গত বছর ইউরোপের দেশগুলো এলএনজি আমদানি প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ফলে এশিয়ার দেশগুলোর জন্য আমদানি করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ইউরোপে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার ফলে দাম লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। ফলে গত বছর এশিয়ায় বার্ষিক চাহিদা ৭ শতাংশ করে কমে যায়।
শীতের কম তীব্রতা এবং পর্যাপ্ত মজুদ এবং ইউরোপে নিম্নমুখী চাহিদা চলতি বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দামকে অনেকটাই নিচে নামিয়ে আনে। তবে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইউরোপের দেশগুলোয় এলএনজি আমদানি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। ঐতিহাসিক গড়ের তুলনায় এখনো ওপরেই অবস্থান করছে জ্বালানিটির দাম।
এশিয়ার বাজারগুলোর মধ্যে চীন ও জাপানে চাহিদা গত বছরের চেয়ে অনেক কমেছে। প্রথম প্রান্তিকে চীনে চাহিদা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ কমেছে। ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১৪ শতাংশ। আকাশচুম্বী দামের কারণে গত বছর চীনের ক্রেতারা প্রায় ২০ শতাংশ আমদানি কমিয়ে দেয়। কিন্তু এ বছর অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলেন, জিরো কভিড নীতি থেকে সরে আসায় দেশটিতে চাহিদা ঘুরে দাঁড়াবে।
এনজে