রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া প্রতিবছর ১৩ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি ৫ কোটি ৫০ লাখ টন রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দেশটির। রাশিয়ার উপকৃষিমন্ত্রী ওকসানা লুট এমনটা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য কিনতে অস্বীকৃতি জানালেও দেশটি খুব ভালোভাবেই রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ক্রেতা দেশের সংখ্যা কমে গেলেও বিক্রির পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আমরা এখন বেশি দেশে রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা করছি না বরং শক্তিশালী অংশীদারত্ব তৈরির প্রয়াস চালাচ্ছি।’
রাশিয়ার খাদ্যশস্য রফতানি ইউনিয়নের প্রধান এডুয়ার্ড জেরনিন বলেন, ‘রাশিয়া বর্তমানে দেশটিতে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের ৮০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় বিক্রি করছে। তুরস্ক, মিসর, ইরান, সৌদি আরব ও আলজেরিয়া দেশটির শীর্ষ পাঁচ ক্রেতা দেশ।’
কৃষিমন্ত্রী দিমিত্রি পেট্রুশেভ বলেন, ‘চলতি বছর খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ কোটি ৩০ লাখ টনে। এ সময় মোট রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে পাঁচ কোটি থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টনে।’
চলতি সপ্তাহে কৃষ্ণসাগরীয় খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি আরো দুই মাসের জন্য সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে এ চুক্তি আরো জোরদার করার ক্ষেত্রে রাশিয়া শর্ত বেঁধে দিয়েছে। দেশটির দাবি, খাদ্যশস্য রফতানিতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে যে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা উঠিয়ে নিতে হবে। তবেই চুক্তি যথাযথভাবে সম্প্রসারণে রাজি হবে দেশটি।
এনজে