মা-বাবা টাকা পাঠান। কিন্তু তা তো শুধু পড়াশোনার খরচের জন্য। রাতে দেদার পার্টি, মদের টাকা জোগাড় করতে তাই দেহব্যবসা। প্রত্যেকেই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী। ডাক্তারির ছাত্রী ছাড়াও রয়েছে অন্যান্য নামী প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা। পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০ জন ছাত্রী-সহ মোট ৩৪ জনকে।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় দিনের পর দিন রমরমিয়ে চলছিল দেহব্যবসা। পুলিশের কাছে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়লেও, প্রমাণের অভাবে বারবারই ফস্কে যাচ্ছিল তারা। এবার একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগরতলায় তিনটি আবাসিকে রবিবার রাতে হানা দিয়ে খোঁজ মিলল একাধিক মধুচক্রের। দেহব্যবসায় লিপ্ত তরুণীরা প্রত্যেকেই মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে, ওই ছাত্রীরা দাবি করে, তারা খুবই গরিব। পড়াশোনার খরচ চালাতেই রোজগারের এই পন্থা নিয়েছে। কিন্তু সেই দাবি যে ডাহা মিথ্যে, তার প্রমাণ মিলেছে ধৃত ছাত্রীদের পরিবার সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার পর। জানা গিয়েছে, ধৃতদের প্রত্যেকের পরিবারই স্বচ্ছল। স্রেফ দেদার পার্টি, মদের টাকা জোগাড় করতেই ওই ছাত্রীরা দেহব্যবসায় লিপ্ত হয়েছে।
আগরতলা পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত পড়ুয়াদের মধ্যে দুই তরুণী আগরতলার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ছাত্রী। অন্য এক যুবতী নার্সিং ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করছেন এবং বাকিরা সকলেই আগরতলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী। রবিবার রাতেই ধৃতদের স্থানীয় আদালতে পেশ করা হয়। আদালত এর মধ্যে ৩২ জনকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ১৭ বছর বয়সি নাবালিকাকে জুভেনাইল হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।