বৈরি আবহাওয়ার প্রভাবে এশিয়ার দেশগুলোয় ধান উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে চালের বাজারে সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এ আশঙ্কায় এশিয়ার শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোয় ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার।
থাইল্যান্ডে চালের দাম বেড়ে চার মাসের সর্বোচ্চে উঠেছে। চলতি সপ্তাহে দেশটি ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রফতানি করছে টনপ্রতি ৫০০ ডলারে, যা গত সপ্তাহে রফতানি করা হয়েছিল টনপ্রতি ৪৯৮-৫০০ ডলারে। জানুয়ারির পর এটিই সর্বোচ্চ দাম।
এ বিষয়ে ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, স্থানীয় বাজারে অনেক বেশি চাহিদার কারণে দাম আবারো বেড়েছে। অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে নতুন চাল আসতে কিছুটা সময় লাগছে। তার ওপর বর্তমানে থাই মুদ্রা বাতের বিনিময় মূল্যও বেশি। এ কারণে আগামী কিছু সপ্তাহ চালের বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।’ অনেক আমদানিকারক দেশে এবার আবহাওয়াজনিত কারণে উৎপাদন কমবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকখানি বেড়েছে, যা এশিয়ার দেশগুলোয় চাল উৎপাদনকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে যাচ্ছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরাও বৈরী আবহাওয়ায় চলতি বছর বিশ্বজুড়ে চাল উৎপাদন ব্যাহত হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
ভিয়েতনাম চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৪৮৫-৪৯৫ ডলারে রফতানি করেছে। আগের সপ্তাহেও একই দামে রফতানি করা হয়েছিল। হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, ভিয়েতনামে চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে সরবরাহ না বেড়ে উল্টো কমছে। এছাড়া মিয়ানমার ও পাকিস্তানের মতো উৎপাদক দেশগুলোয় চলতি বছর উৎপাদন কমবে। ব্যবসায়ীরা জানান, মেকং ডেল্টা প্রদেশের কৃষকরা গ্রীষ্ম ও শরৎকালীন ধানের আবাদ এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছেন।
এদিকে এল নিনোর প্রভাোব বর্ষা মৌসুমে শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভারতেও উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটি বর্তমানে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল ৩৭৪-৩৭৮ ডলারে রফতানি করছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে দাম কিছুটা কমেছে। ওই সময় রফতানি মূল্য ছিল ৩৭৬-৩৮০ ডলার। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতের মুদ্রা রুপির বিনিময় মূল্য কমে দুই সপ্তাহের সর্বনিম্নে নেমে যাওয়ায় চালের দামও কমেছে। তাছাড়া নিম্নমুখী চাহিদা দাম কমাতে সহায়তা করেছে।
এনজে