ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে রাজধানীতেও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। শুক্রবার গভীররাত থেকে এ বৃষ্টি শুরু হয়। এই বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়াও বয়ে যাচ্ছে। শনিবার সোয়া ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বুলেটিনে (নং-১৬) জানানো হয়, সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। রোয়ানু’র প্রভাবে ভোর থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। হাতিয়ায় ভারী বরর্ষণের সঙ্গে তীব্র বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মমিনুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আজ সারাদিনই ঢাকায় বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাবে। এদিকে সকালেই বৃষ্টিপাতের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বুলেটিনে (নং-১৬) আরো জানানো হয়, সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উপকূল অতিক্রমের সময়ে ওই এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। আর ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সানবিডি/ঢাকা/জাকির/এসএস