বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব গৌতম বুদ্ধের জন্মোৎসব শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা আজ। খ্রিষ্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে তৎকালীন ভারতবর্ষে বর্তমান নেপালের কপিলবাস্তু রাজা শুদ্ধোধন ও রানী মহামায়ার কোল আলোকিত করে জন্ম নেয় এক রাজশিশু। নাম তার সিদ্ধার্থ। রাজপুত্র সিদ্ধার্থ গৌতমের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ এবং বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্তি—এই তিনটি অনন্য ঘটনা শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে ঘটেছিল বলেই বৈশাখী পূর্ণিমার অপর নাম বুদ্ধপূর্ণিমা।
বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ লাভের পর থেকে বুদ্ধবর্ষ গণনা শুরু হয়। গৌতম বুদ্ধ মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন আজ থেকে ২ হাজার ৫৫৮ বছর আগে। আজ থেকে নতুন বুদ্ধবর্ষ ২ হাজার ৫৫৯ বর্ষ শুরু হলো।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন।
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের এ প্রধান ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় বুদ্ধ পূজা ও সংঘদান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সভায় বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু সংঘরাজ ড. ধর্মসেন মহাথেরো সভাপতিত্ব করবেন।
এরপর বিশ্ব শান্তি কামনায় প্রদীয় প্রজ্বালন ও সমবেত প্রার্থনা শেষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আয়োজিত বৌদ্ধ নাগরিকদের জন্য আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তারা।
বাসাবো সবুজবাগ ধর্মরাজি বৌদ্ধ মহাবিহার বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সকাল ৮টায় প্রভাত ফেরির আয়োজন করে। প্রভাত ফেরি বাসাবো বৌদ্ধমন্দিরের সামনে থেকে শুরু হয়ে মুগদা স্টেডিয়ামের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ ছাড়া সমবেত প্রার্থনা, ধর্মীয় আলোচনা সভা ও বৌদ্ধ পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বিকেলে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সবুজবাগ বৌদ্ধবিহার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্বে করবেন শুদ্ধানন্দ মহাথেরো।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারাও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।