পাইকারি বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৩-০৫-২৬ ২০:৩৬:০৪


ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে ফরিদপুরের পাইকারি বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। ৩ দিনের ব্যবধানে মণ প্রতি দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। তবে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামেই।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী দেশের পেঁয়াজের বাজার। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না দাম। তবে সরকারের পেঁয়াজ আমদানির হুঁশিয়ারির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ফরিদপুরের পাইকারি বাজারগুলোতে।

শুক্রবার (২৬ মে) সরজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েকদিন আগেও ফরিদপুরের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে চলতি সপ্তাহে প্রতি মণ পেঁয়াজে দাম কমেছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।

তবে দীর্ঘদিন পর পেঁয়াজের বাজার বাড়লেও আমদানির খবরে আবার তা নিম্নমুখী হওয়ায় হতাশ চাষিরা। এ মৌসুমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার আহ্বান তাদের। চাষিরা বলেন, বাজারে কমছে পেঁয়াজের দাম। এ অবস্থায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করলে বিপাকে পড়বেন তারা।

এদিকে পাইকারি বাজারে প্রতি মণে দাম কমলেও এর উল্টো চিত্র খুচরা বাজারে। এ অবস্থার জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের দায়ী করছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম পড়ছে ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এতে কেজি প্রতি গুণতে হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৩ টাকা। তবে মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলে কমবে দাম।

ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আলী আশরাফ পিয়ার বলেন, পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। শিগগিরই কমবে খুচরা বাজারেও।

আর পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিংসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন ফরিদপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ। তিনি বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলায় চলতি বছর ৪২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন পেয়াঁজ উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের।

এএ