এপ্রিলে প্রায় ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে স্তরে নেমেছে চীনের পরিশোধিত নিকেল আমদানি। এ সময়ে দেশটি ‘ক্লাস-১’ পরিশোধিত নিকেল আমদানি করেছে মাত্র ৩ হাজার ২০৪ টন, যা ২০০৪ সালের জানুয়ারির পর কোনো একক মাস হিসেবে সর্বনিম্ন। বছরের প্রথম চার মাসে দেশটিতে নিকেলের মোট আমদানি হয়েছে ২৩ হাজার ৪৫৩ টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৫ শতাংশ কম। খবর রয়টার্স।
সাংহাই ফিউচার এক্সচেঞ্জে (এসএইচএফই) নরিলস্ক নিকেলকে একটি সরবরাহযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পর রুশ আমদানি বেড়ে যায়। এ কারণে ২০১৬ সালে দেশটিতে এ ধরনের নিকেলের চাহিদা ছিল ৩ লাখ ৭১ হাজার টন। তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রাশিয়া থেকে আমদানি আর বাড়েনি। যদিও চীন অতিরিক্ত রাশিয়ান অ্যালুমিনিয়াম করছে, তবে জানুয়ারি-এপ্রিলে রাশিয়ান নিকেল আমদানি ছিল মাত্র পাঁচ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫৭ শতাংশ নিম্নমুখী।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ১২ হাজার ৪০০ টন পরিশোধিত নিকেল রফতানি করেছে চীন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬০০ টন রফতানি হয়েছে সিঙ্গাপুরে এবং দুই হাজার টন ভারত ও নেদারল্যান্ডসে। চীনের রফতানি পরিসংখ্যানের মধ্যে সরাসরি রফতানি ও শুল্কবিহীন ধাতবের শিপমেন্ট উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তথ্য বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি-এপ্রিলের ৬১ হাজার টন নিকেলের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বৈশ্বিক চাহিদা কমেছে। এ সময়ে নিকেলের বৈশ্বিক চাহিদা ছিল মাত্র ১১ হাজার টন। আমদানি চাহিদা কমার পেছনে একটি কারণ হিসেবে এসেছে ‘ক্লাস-১’ ধাতবের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা।
দেশের স্টেইনলেস স্টিল কারখানাগুলো এখন নিকেল পিজ আয়রন (এনপিআই) পছন্দ করে। ধাতবটি নিকেলের একটি মধ্যবর্তী রূপ। ২০০৭ সালে যখন প্রতি টন নিকেলের দাম ৫১ হাজার ৮০০ ডলারে পৌঁছেছিল, তখন এর চাহিদা বাড়তে শুরু করে।
প্রতিবেদন বলছে, চীনে নিকেলের বৃহৎ সরবরাহকারী ইন্দোনেশিয়া। চীনের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির (ইভি) ব্যাটারি খাতে উচ্চমানসম্পন্ন ক্লাস-১ পরিশোধিত ধাতবের প্রয়োজন এখন কমেছে। ফলে এটি অন্যান্য মধ্যবর্তী মানসম্পন্ন নিকেল পণ্যের আমদানি কমিয়েছে। এসব উপাদান মূলত ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে। উভয় দেশই বিশ্বব্যাপী নিকেল শিল্পকে নতুন রূপ দিচ্ছে।
এনজে