১০ বছরের সঞ্চয়ে হজ করছেন এক নারী
আপডেট: ২০১৫-০৯-২১ ১৮:৪৫:৪৭
ধূমায়িত মাছের ব্যবসা করে দিনাতিপাত করেন উগান্ডার কাসিফাহ নানকুম্বা। এমনিতেই তার দিন চলে না। কিন্তু হজ করার সঙ্কল্প তাকে ওই সামান্য আয় থেকেই সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করেছে। দীর্ঘ ১০ বছরের সঞ্চয় দিয়েই এবার পবিত্র হজ করছেন তিনি।
৫৮ বছরের কাসিফাহ নানকুম্বা বলেন, ‘মক্কায় যাওয়া, নবীজীর রওজা জিয়ারত করা, আরাফাতের ময়দানে হাজির হওয়া আর জমজমের পানি পানের অপো আর সইছে না। ২৮ বছর ধরে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার কাছে কালেরবি বাজারে ধূমায়িত মাছের ব্যবসা করছেন কাসিফাহ।
হজের জন্য সঞ্চয় শুরুর দিনের কথা স্মরণ করেন তিনি। সেটা ২০০৬ সালের কথা। তিনি বাজারে বসেছিলেন। হঠাৎ হজ করার স্বপ্ন দেখলেন। তিনি জানান, ‘তখন কিন্তু আমার হাতে একটা পয়সাও ছিল না। তা-ই মাথা থেকে হজের কথাটা ঝেড়ে ফেলতে চাইলাম।’ কিন্তু কয়েক দিন পর এমন একজনের সংস্পর্শে এলেন, যার ফলে হজ করার স্বপ্ন আরো জোরালো হলো। ওই ব্যক্তি মক্কায় হজযাত্রীদের সহায়তার কাজ করেন।
হাজী মূসা নামে ওই লোকটি মিতায়ানা হিজ্জা ও উমরা ট্যুর এজেন্সির ম্যানেজারের সাথে তার পরিচয় করে দেন। তিনিই তাকে সঞ্চয়ের পরামর্শ দেন।
তখন থেকেই তিনি একটু একটু করে সঞ্চয় করে মার্কিন ডলার কিনতে থাকেন। তিনি জানান, ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি প্রতিবার চার থেকে পাঁচ ডলার করে সঞ্চয় করতেন। খুব কম হলেও তা জমা হচ্ছিল। ২০০৯ সালে তিনি হাজীদের স্পন্সর করেন এমন এক ব্যক্তির নাম শুনলেন। দুই দিন পর হাজী কাজুমবির কাছে হাজির হলেন তিনি।
তিনি তার কাছে তার সব কথা খুলে বললেন। কিন্তু তিনি তাকে সাহায্য করতে পারলেন না। তিনি তাকে তার ডলারের হিসাব দেখালেন। তিনি বললেন, তাকে আরো জমাতে হবে। এভাবে করতে করতে ২০১৫ সালের ১৫ জুন তিনি হিজা অফিসের ম্যানেজারের কাছ থেকে ফোন পেলেন : কাসিফাহ, আপনি যে অর্থ সঞ্চয় করেছেন, তা এবার হজ করার জন্য যথেষ্ট।’
তিনি ওয়ানদেগেয়া মসজিদে আনন্দে নেচে উঠলেন। সেখানেই তিনি হজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। চলতি বছর ৭৫০ জন উগান্ডান হজ করছেন। আগের বছরের তুলনায় সংখ্যাটা কিছু কম। গতবার করেছিল ৯৫৭ জন। উগান্ডা থেকে হজ করতে লাগে প্রায় ৪১৫০ ডলার। সেটা অনেকের পইে সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। আনাদোলু অবলম্বনে ।