গত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও ইউরোপের দেশ সুইডেন ও যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম। সোমবার (২৯ মে) ৪ মেট্রিক টন ক্ষীরশাপাতি আম সুইডেনে ও ৩ মেট্রিক টন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রপ্তানির জন্য পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মেসার্স এমবিবি এগ্রো নামে এক ফল এবং সবজি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আম রপ্তানি করছে। মেসার্স এমবিবি এগ্রোর প্রত্যাশা- চলতি মৌসুমে ১০০ মেট্রিক টনের বেশি আম বিদেশে রপ্তানি করবে তারা।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. বদরুদ্দোজা বলেন, আমি ২০১২ সাল থেকে আম ও বিভিন্ন ধরনের সবজি সুইডেনে রপ্তানি করি। চলতি মৌসুমেও শুরু করেছি। এ বছরে এখন পর্যন্ত ৪ মেট্রিক টন সুইডেনে ও ৩ মেট্রিক টন আম লন্ডনে পাঠিয়েছি। আমি সুইডেনেই থাকি। সুইডেনের স্টকহোমের কয়েকজন ব্যবসায়ী আমাকে আমের অর্ডার দিয়ে রাখেন। পরে আমি নাচোল থেকে আমগুলো প্যাকিং করে পাঠিয়ে দেই। সুইডেন বিমানবন্দর থেকেই আমগুলো তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি সুইডেনে বছরের ছয় মাস বাংলাদেশের সবজি বিক্রি করি। আর অন্য ছয় মাস ইতালির। অন্যদিকে আমের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বিক্রি করছি। বাংলাদেশ থেকে লাউ-পটলসহ প্রায় ২০ ধরনের সবজি রপ্তানি করে থাকি। এখন পর্যন্ত আমার বাগানের আম বিদেশে পাঠাচ্ছি।
মো. বদরুদ্দোজা বলেন, আমার বাগানের আম শেষ হলে অন্যের বাগানের আম কিনে রপ্তানি করব। আজকেও (মঙ্গলবার) আমার বাগানের আরও এক মেট্রিক টন আম লন্ডনে যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, বদরুদ্দোজা শুধু আম নয়, বিভিন্ন ধরনের সবজিও বিদেশে রপ্তানি করেন। বিদেশে আম পাঠানোর জন্য কৃষি বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করছে। আর আমরা আম রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যেহেতু এ জেলার আম রপ্তানিযোগ্য ও সম্পূর্ণ কেমিক্যালমুক্ত, তাই আশা করছি বিদেশে আম রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি বছর ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়। গত মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদন হয় ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। ২০২১ সালে জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আড়াই লাখ মেট্রিক টন এবং তার আগের বছর ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়।
এএ