সারাদেশের উপর বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার ১০৪টি ইউনিয়নের ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৮১ হাজার ৪১১ জন মানুষ। আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ জন মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে বাঁশখালীর ৯ জনসহ চট্টগ্রামে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৪টি ওয়ার্ডসহ মোট ১০ উপজেলায় ১০৪ টি ইউনিয়নের ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৮১ হাজার ৪১১ জন আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ জন মানুষ।
মোট ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৪৩৭টি পরিবার সম্পূর্ণ ও ৮৩ হাজার ৬৬০টি পরিবার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের সংখ্যা ২০ হাজার ৮৯২টি আর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের সংখ্যা ২৫ হাজার ৭৬৬টি।
রোয়ানু’র কারণে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের পরিমাণ ১৫৪ একর আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২ হাজার ৫৪১ একর ফসল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট পানিতে মারা গেছে ৮০টি গবাদি পশু ও ৪০ হাজার ৫৫০টি হাঁস-মুরগি।
এছাড়া ৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ১২টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং ৪৭ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ এবং ১৪৪ একর সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ও ৬৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জানান জেলা প্রশাসক।