প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পেল নৌপরিবহন খাত
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০৬-০১ ১৭:২০:৩৬
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল সাত হাজার ২২৪ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ কমে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বাড়ল পাঁচ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে দেশের ৫২তম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মূল্যস্ফীতির চাপসহ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে তিনি সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। তার বাজেট বক্তৃতায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের তথ্য উঠে আসে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যোগাযোগ খাতে আমরা সব মাধ্যম অর্থাৎ সড়ক, সেতু, রেল, নৌ ও আকাশপথের সমন্বিত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপদ, টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী যোগযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে, বর্তমানে চলমান কার্যক্রমগুলোর সময়ানুগ বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়নোত্তর মান সংরক্ষণের ওপর আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।
বাণিজ্য সহায়ক নৌপথ ও বন্দর ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশ সমুদ্রবন্দরগুলোর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে স্থল ও নৌবন্দগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রপ্তানি বাণিজ্য এবং দেশি-বিদেশি বাণিজ্য সম্প্রসারণে অন্যতম লজিস্টিকস হলো বন্দরসমূহ। ফলে শুরু থেকেই সমুদ্রবন্দর, নৌ ও স্থলবন্দর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষ সাধনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।
এ ছাড়া মোংলা বন্দরকে একটি আধুনিক সমুদ্রবন্দরে রূপ দেওয়ার জন্য কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং, আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা, সহায়ক জলযান সংগ্রহ, নতুন জেটি নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পায়রা বন্দরকে একটি বিশ্বমানের সমুদ্রবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
যাত্রী পরিবহনে নৌপথের ব্যবহার প্রসঙ্গে বাজেট বক্তৃতায় আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের উদ্দেশ্যে ঢাকার চারপাশে ১১০ কিলোমিটার বৃত্তাকার নৌপথ নির্মাণ করা হয়েছে, বর্তমানে এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলমান রয়েছে। গত ১৪ বছরে আমরা মৃত এবং মৃতপ্রায় নদীতে খনন ও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৭২০ কিলোমিটার নৌপথ পুনরুদ্ধার করেছি।
এম জি