ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে গম ও সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করেছে ইউরোপিয়ান কমিশন। একই সঙ্গে বার্লি ও ভুট্টা উৎপাদন কমার কথা জানানো হয়েছে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান কমিশন প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে। খবর রয়টার্স।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন অঞ্চলের প্রধান খাদ্যশস্য গম। ২০২৩-২৪ মৌসুমের প্রাক্কলন অনুসারে উৎপাদন ১৩ কোটি ১৫ লাখ টন স্পর্শ করবে। যদিও এপ্রিলে প্রাক্কলন ধরা হয়েছিল ১৩ কোটি ২ লাখ টন। পরিবর্তিত প্রাক্কলন গত বছরের উৎপাদন অপেক্ষা বেশি। ২০২২ সালে উৎপাদন ছিল ১২ কোটি ৫৭ লাখ টন। এদিকে ইউরোপীয় অঞ্চলে সরিষা সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত তেলজাত পণ্য। ২০২৩-২৪ মৌসুমে পণ্যটির উৎপাদনের প্রাক্কলন ধরা হয় ২ কোটি ২ লাখ টন, যা এক মাস আগে ধরা প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি। এপ্রিলে ঘোষিত পূর্বাভাসে সরিষা উৎপাদন ধরা হয়েছিল দুই কোটি টন। অন্যদিকে ২০২২-২৩ মৌসুমে সরিষা আহরণ হয়েছে ১ কোটি ৯৫ লাখ টন।
বিপরীতে বার্লি উৎপাদনে প্রাক্কলন ৫ কোটি ২২ লাখ টন থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৫ কোটি ২০ লাখ টনে। ভুট্টার উৎপাদন ৬ কোটি ৪৪ লাখ টন থেকে কমে ৬ কোটি ৪১ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। যদিও অবনমনের পরও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রাক্কলন ২০২২-২৩ অর্থবছরের উৎপাদনের তুলনায় বেশি। গত মৌসুমে বার্লির উৎপাদন ছিল ৫ কোটি ১৫ লাখ টন ও ভুট্টা ৫ কোটি ২১ লাখ টন। কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, সরবরাহ ও চাহিদা সূচকে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দেয়ার প্রধান কারণ স্পেনের বর্তমান পরিস্থিতি। স্পেন সম্প্রতি খরায় আক্রান্ত। এতে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। মে মাসে সেখানে উৎপাদন ১৩ শতাংশ কমবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। এপ্রিলে উৎপাদন কমেছে ২০ শতাংশ।
কিন্তু খাদ্যশস্য উৎপাদন সার্বিকভাবে ফ্রান্সে ১ শতাংশ ও রোমানিয়ায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অঞ্চলে গম রফতানি ২০২৩-২৪ সালে কমে ৩ কোটি ২০ লাখে টনে নেমে এসেছে। মে মাসে ছিল ৩ কোটি ২৫ লাখ টন। ২০২২-২৩ মৌসুমে গম রফতানির প্রাক্কলন ১ কোটি ১০ লাখ মিলিয়নে স্থির রাখা হয়। ২০২২-২৩ সালে গমের প্রাক্কলিত মজুদ ১ কোটি ৯৯ লাখ টন, মে মাসে যার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৯৬ লাখ টন। অর্থাৎ পর্যালোচনার পর প্রাক্কলনে তিন লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যাশিত আমদানি দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ টনে। ভুট্টা আমদানির পূর্বাভাস মূলত চলতি মৌসুম পর্যালোচনার পর বেড়েছে। ২ কোটি ৪০ লাখ টন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ টনে। একই সময়ে ভুট্টা আমদানির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টন।
এনজে