দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৯ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি পেয়েছে আট আমদানিকারক। ইতোমধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারা। সোমবার (৫ জুন) দুপুরে স্থলবন্দরের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকার পেয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ায় সোমবার আমি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি হাতে পেয়েছি। ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করছি। এলসিসহ অন্য যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ হলে বিকেলের দিকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে।
হিলি স্থলবন্দরের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, হিলি থেকে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামার বাড়িতে আবেদন করেন। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত আট ব্যবসায়ী ১৯ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছেন। এখন পেঁয়াজ আমদানির করতে কোনো বাধা নেই।
রোববার (৪ জুন) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয়সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সেজন্য, সবসময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।
দেশীয় পেঁয়াজের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে ও কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। ঈদের পর থেকে বাজারে দফায় দফায় দাম বেড়ে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে যায়।
২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এবছর ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪.৫৩ লাখ মেট্রিক টন। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ লাখ মেট্রিক টন। ২০২১-২২ অর্থ বছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬.৬৫ লাখ মেট্রিক টন।
এএ