গোটা বিশ্বে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এটি মোকাবিলায় আগামী জুলাই থেকে দৈনিক আরও ১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি আরব। এতে বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম আরও বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, সোমবার (৫ জুন) বিশ্ববাজারে তেলের দর বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২ শতাংশ। এ কার্যদিবসে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধি ব্রেন্টের সরবরাহ মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ১ ডলার ৩৭ সেন্ট বা ১ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের দাম স্থির হয়েছে ৭৭ ডলার ৫০ সেন্ট।
দিনের শুরুতে যা ছিল ৭৮ ডলার ৭৩ সেন্ট। সাম্প্রতিক সময়ে একদিনে তা সর্বোচ্চ দর। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১ ডলার ৩৯ সেন্ট বা ১ দশমিক ৯ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৩ ডলার ১৩ সেন্টে। কর্মদিবসের সূচনাতে যা ছিল ৭৫ ডলার ০৬ সেন্ট।
গত মে মাসে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ব্যারেল করে তেল উত্তোলন করেছে সৌদি। তবে জুলাই থেকে ৯ মিলিয়ন ব্যারেল করে পণ্যটি উৎপাদন করবে তারা। শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশটির জ্বালানি মন্ত্রীর এ ঘোষণার পর গত শুক্রবার উভয় বেঞ্চমার্কের চুক্তি মূল্য ঊর্ধ্বগামী হয় ২ শতাংশ।
২০২৪ সাল পর্যন্ত তেলের উৎপাদন সীমিত রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সৌদি ও রাশিয়া নেতৃত্বাধীন জোট ওপেক প্লাস। জ্বালানি পণ্যটির মূল্য হ্রাস প্রতিরোধে ই উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৪০ শতাংশ তেল উত্তোলন করে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো। দিনে ৩ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা। বৈশ্বিক চাহিদার যা ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
এএ