সরকার দেশের বাজারে পেঁয়াজের লাগামহীন দাম নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন পর পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি দিয়েছে সরকার। এ আমদানির খবরেই হিলির বাজারে কমতে শুরু করেছে দেশী পেঁয়াজের দাম। মাত্র একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।
দেশের কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে গত ১৫ মার্চ পেঁয়াজের আইপি বা ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর দীর্ঘ সময় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। আইপি বন্ধের সময় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা কেজি। এরপর দফায় দফায় এর দাম বেড়েছে। একপর্যায়ে অসহনীয় হয়ে ওঠে বাজার। এ বাজারের লাগাম টেনে ধরতেই রোববার আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। গতকাল থেকে আমদানির খবরেই হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম ১০-১৫ টাকা কমে যায়। বর্তমানে হিলি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের আড়তগুলোয় পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও আগের তুলনায় পেঁয়াজের ক্রেতা কমেছে। শনিবার এ বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। সেই পেঁয়াজ আজ মানভেদে ৭০-৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা এরই মধ্যে এলসির জন্য আবেদন করেছে। যেহেতু সামনে কোরবানির ঈদ। এ ঈদে যেন বাজারে দাম না বাড়ে, সে লক্ষ্যে আমদানিকারকরা বেশি বেশি এলসি করেছেন। আশা করা যায় ভারত থেকে আমদানি হলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০-৩০ টাকার মধ্যেই থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতি বছর দেশী উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেলে দাম বেড়ে যায়। এ সময় দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি বছর ৫০-৬০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।’
এনজে