হিলিতে আরও ১০ টাকা কমল পেঁয়াজের দাম
সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৩-০৬-০৭ ০৯:২৩:৪৮
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ায় দীর্ঘ ২ মাস ২০ দিন বন্ধের পর হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দেশী পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার এক রাতের ব্যবধানে দাম কেজিতে আরো ১০ টাকা করে কমেছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরো কমবে বলে দাবি পেঁয়াজ আমদানিকারকদের।
সোমবার বন্দর দিয়ে তিনটি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আবারো আমদানি শুরু হয়। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো বন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত ছিল। এদিন বেলা ৩টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ১৬ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব দোকানেই দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ বেশ ভালো। সোমবার যে পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে তা কমে ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ বন্দরে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ‘সরকারি সিন্ধান্ত মোতাবেক সোমবার আমরা পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র আইপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আমদানির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে। সোমবার বন্দর দিয়ে তিন ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ফলে দেশী পেঁয়াজের দাম ২০-৩০ টাকা কমে গেছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ˆপেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না থাকায় গত ১৬ মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ ছিল। অনুমতি পাওয়ায় সোমবার থেকে আবারো আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই তিনটি ট্রাকে ৬৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত ছিল।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, সোমবার থেকে আবারো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র আইপি দেয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। কয়েকজন আমদানিকারক এলসি খোলার মধ্য দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন। সোমবার তিনটি ট্রাকে ৬৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৪২ জন আমদানিকারক প্রায় ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র পেয়েছেন। আইপি ইস্যু অব্যাহত রয়েছে।
এনজে