পাকিস্তানে ইসলামী আদর্শকে সমুন্নত রাখতে যে জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে তারা সুপারিশ করেছে, কোন স্ত্রী স্বামীর কথা না শুনলে তাকে ‘হালকা মার’ দেয়া যেতে পারে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ডন এক খবরে জানিয়েছে, ইসলামী নজরিয়াতি কাউন্সিল নারীর সুরক্ষার জন্য খসড়া আইন তৈরি করেছে।
সেই আইনে বলা হয়েছে, স্ত্রী স্বামীর আদেশ পালন না করলে, তার কথামতো পোশাক না পরলে, স্বামীর চাহিদামত যৌন সঙ্গম না করলে, সঙ্গমের পর বা ঋতুকালীন সময়ে গোসল না করলে স্বামী তাকে হালকাভাবে প্রহার করতে পারবে।
ইসলামী নজরিয়াতি কাউন্সিল একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এর ২০ জন সদস্য রয়েছে। এর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে পাকিস্তানের সংসদকে পরামর্শ দেয়া। তবে সংসদ এসব সুপারিশ বিবেচনা করতে বাধ্য নয়।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সরকার ২০১৫ সালে সহিংসতার হাত থেকে নারীদের রক্ষার জন্য একটি বিশেষ আইন তৈরির প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু ইসলাম-বিরোধী আখ্যা দিয়ে নজরিয়াতি কাউন্সিল সেই খসড়া আইনটিকে খারিজ করে দেয়।
পরে তারা নিজেরাই এ সম্পর্কে আইনের খসড়া তৈরি করে সংসদের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করে।
এই প্রস্তাবিত আইনে স্ত্রীকে পেটানোর আরও কিছু পরিস্থিতি বর্ণনা করা হয়েছে- স্ত্রী যদি হিজাব না পরে, বেগানা মরদের সাথে কথা বলে, এমন জোর গলায় কথা বলে যে অচেনা পুরুষ তার গলার স্বর শুনতে পারে, এবং স্বামীর অনুমতি ছাড়াই যদি কাউকে অর্থ সাহায্য দেয়।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস